(বাঁ দিকে) বাশার আল আসাদ এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল চিত্র।
রবিবারই সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস ছেড়েছিলেন। কিন্তু তাঁর গন্তব্য নিয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল না। সোমবার সকালে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছিল, রবিবারই মস্কো পৌঁছেছেন সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তাঁর পরিবার আগেই মস্কো পাড়ি দিয়েছেন। এ বার ক্রেমলিন নিশ্চিত করল বাশারকে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন বাশারকে রাশিয়ায় আশ্রয় দেওয়া হবে। তবে তিনি কোথায় থাকবেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেননি পেশকভ। রাশিয়াতে থাকলেও পুতিনের সঙ্গে বাশারের সাক্ষাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।
সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস এখন বিদ্রোহীদের দখলে। রবিবার সকালে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন আসাদ। তাঁকে বিমানে উঠতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা স্পষ্ট হচ্ছিল না। দামাস্কাস থেকে আসাদের গন্তব্য সম্বন্ধে নিশ্চিত করে কেউই কিছু বলতে পারছিলেন না। এর মধ্যে গুজব রটে, আসাদের বিমান আকাশে উড়তে দেখা গেলেও মাঝ আকাশে তা নাকি উধাও হয়ে গিয়েছে। আর দেখা যায়নি সেই বিমান। সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ল কি না, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে সোমবার রাশিয়ার প্রথম সারির বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, পুতিন মানবিক কারণে তাঁকে নিজের দেশে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সপরিবার মস্কোয় পৌঁছেও গিয়েছেন আসাদ। এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্রেমলিন আসাদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপার জানাল।
সিরিয়া বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়ার পর মস্কো জানিয়েছিল, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিয়ার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত এবং রাশিয়া-সিরিয়া সম্পর্কের উন্নতিতে আগ্রহী পুতিন। এ বিষয়ে রাজনৈতিক সংলাপ চালিয়ে যেতে চান তিনি। ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে ছিলেন আসাদ। ২০১১ সালে প্রথম বার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দেওয়া শুরু করে আমেরিকা। দীর্ঘ দিন ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। কিন্তু এত চেষ্টা সত্ত্বেও রাশিয়ার প্রত্যক্ষ সমর্থন থাকায় আসাদ সরকারের পতন ছিল একরকম অসম্ভব। আসাদের কুর্সি রক্ষাতে সব রকম সাহায্য করেছিল মস্কো। যুদ্ধবিমান সরবরাহ থেকে সিরিয়ায় রুশ সেনাঘাঁটি তৈরি করা, ‘বন্ধু’ আসাদের দিকে সব সময়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন পুতিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy