ছবি: রয়টার্স।
গত কয়েক মাসে অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানলে প্রাণ হারিয়েছে অসংখ্য কোয়ালা। পোড়া ঘা নিয়ে ঘর হারিয়েছে আরও কত শত। প্রাণীটিকে ‘বিপন্নপ্রায়’ তালিকাভুক্ত করেছে দেশের পরিবেশ মন্ত্রক। এরই মধ্যে ভিক্টোরিয়ার একটি টিম্বার প্ল্যান্টেশন থেকে অসংখ্য কোয়ালার মৃতদেহ মিলল। অভিযোগ, কাঠের ব্যবসার খাতিরে জঙ্গলের গাছ কাঠতে গিয়ে মারা হয়েছে কোয়ালাগুলিকে। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৮০টি কোয়ালাকে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
ইউক্যালিপটাস গ্লোবিউলাস বা সাধারণের ভাষায় ‘ব্লু গাম ট্রি’। লম্বা, চিরসবুজ গাছটি শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই পাওয়া যায়। ছায়াঘন গাছটি কোয়ালাদের পছন্দের বাসস্থান। ভিক্টোরিয়ার এমনই একটি টিম্বার প্ল্যান্টাশন (কাঠের জোগান দেওয়ার জন্য দীর্ঘ এলাকাজুড়ে পরিকল্পনামাফিক ভাবে গাছের চাষ) থেকে কোয়ালা-নিধনের খবর আসে। একটি পরিবেশপ্রেমী সংস্থার অভিযোগ, ডিসেম্বর মাসে কাঠের ব্যবসার জন্য প্রচুর গাছ কাটা হয়েছিল। সে সময়ে বাসস্থান হারিয়ে, না খেতে পেয়ে মারা যায় বহু কোয়ালা। তাদের কথায়, ‘‘লোকজন চোখের সামনে দেখেছে, বুলডোজ়ার করে কাঠের গুঁড়ি তোলা হচ্ছে, আর তার মধ্যে কোয়ালার দেহ।’’
বিষয়টি প্রথম নজরেই আনে এক স্থানীয় বাসিন্দা। হেলেন ওকলে নামে ওই মহিলা ফেসবুক পোস্টে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, ‘‘কত কোয়ালা মরে পড়ে রয়েছে। মা কোয়ালা, তাদের ছোট ছোট ছানা...। অস্ট্রেলিয়ার লজ্জা পাওয়া উচিত।’’
দেশের পশু সুরক্ষা সংস্থা ‘অ্যানিমালস অস্ট্রেলিয়া’ জানিয়েছে, তারা একটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। ওই দলে পশুচিকিৎসকেরাও রয়েছেন। যত সংখ্যক কোয়ালা বাঁচানো যায়, সেই চেষ্টা করছি। তারা টুইট করে ধন্যবাদ জানিয়েছে সচেতন স্থানীয় বাসিন্দাদের। কাঠ-শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলো জানিয়েছে, নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ ব্লু গাম ট্রি কাটা হয়। কিন্তু পশুসুরক্ষা আইন মেনেই গাছ কাঠা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে কেন তার অন্যথা হয়েছে, তদন্ত করে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy