শেষমেশ তিনিই জিতলেন। প্রতিবাদের মধ্যেই শপথ নিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদে। যৌন হেনস্থার মতো অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দের প্রার্থী ব্রেট ক্যাভানাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হলেন। শনিবার ক্যাপিটল হিলের বাইরে এক দিকে চলল প্রতিবাদ। আর তার ফাঁকেই ভিতরে শপথ অনুষ্ঠান।
নাটকীয় মুহূর্তের মধ্যে একটা বিষয় স্পষ্ট, নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগেই জয়ের স্বাদ পেয়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটের আগে ক্যাভানার নিয়োগ হাওয়া জোগাল রিপাবলিকান সদস্যদের মধ্যেও। ক্যাভানার বিরুদ্ধে গলা তুলেও ডেমোক্র্যাটরা ভোটাভুটির পরে কোণঠাসা হলেন। সেনেটে ৫০-৪৮ ভোটে হেরে গেলেন তাঁরা। ১৮৮১ সালের পরে এই প্রথম ভোটাভুটিতে এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল সেনেটে। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের উপস্থিতিতে শপথ নিলেন ৫৩ বছর বয়সি ক্যাভানা। তাঁর স্ত্রী অ্যাশলে, এবং দুই মেয়ে লিজ়া ও মার্গারেটও হাজির ছিলেন সেখানে। ছিলেন ক্যাভানার বাবা-মাও।
নিজের পছন্দের প্রার্থীর জয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই উৎসাহে ফুটছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারে কানস সফরে গিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘ওঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। দারুণ লড়াই হয়েছে। ওঁকে যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে... কেউ ভেবেছিল এ সব হতে পারে!’’ অতীতের তিন যৌন হেনস্থার অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন ক্যাভানা। ছাত্রাবস্থায় তিনি যে মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন, সেই অভিযোগকারিণী ক্রিস্টিন ব্লেসি ফোর্ড ভরা সেনেটে বিচারবিভাগীয় কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন ক্যাভানার বিরুদ্ধে। ক্রিস্টিনের পক্ষে দাঁড়ান ডেমোক্র্যাটরা। আমজনতার সমর্থনও ছিল তাঁর প্রতিই।
ক্যাভানার মনোনয়নে সায় দিতে গিয়ে অযথা দেরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন রিপাবলিকানরা। বিতর্ক আরও বাড়ে ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপিকা ক্রিস্টিনের পাশাপাশি আরও দু’জন মহিলা ক্যাভানার বিরুদ্ধে সরব হওয়ায়। সারা দেশ টিভি সম্প্রচারে ক্রিস্টিনের বক্তব্য শোনার পরে চাপ বাড়ে রিপাবলিকানদের উপরে। তখন বাধ্য হয়েই শেষ মুহূর্তে এফবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এফবিআই গোপন রিপোর্ট জমা দেয় সেনেটের কমিটির কাছে।
এফবিআই তদন্তে ক্লিনচিট দেওয়া হয় ক্যাভানাকে। তার পরেই একের পর এক টুইটে ক্যাভানার স্তুতি শুরু করেন ট্রাম্প। তিনি লিখে যান, ‘‘ডেমোক্র্যাটদের ভয়ঙ্কর আক্রমণের মুখে তিনি যে দাঁড়িয়ে থাকতে পেরেছেন, তাতে আমরা অভিভূত। উনি এক জন ব্যতিক্রমী মানুষ। ওঁর জ্ঞানের পরিধি অসাধারণ। উনি দারুণ আইনজীবীও। এত দিন উনি যা যা করেছেন, সবেতেই তাঁর বুদ্ধিমত্তার ছাপ রেখেছেন। এটা ঐতিহাসিক ভোট ছিল। আমরা খুব খুশি।’’
শপথের সময়ে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে যে ভিড়টা ফের ক্যাভানার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে, তাদের বিঁধতে ছাড়েননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, ‘‘ছোট্ট ভিড় একটা। বড়জোর দু’শো লোক হবে। ফেক নিউজ় মিডিয়া দেখাতে চাইছে, ব্যাপারটা যেন বিশাল একটা কিছু! আসলে তেমন কিছুই নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy