গাজ়া ছেড়ে মিশরে পৌঁছেছেন কাশ্মীরি মহিলা। — ফাইল চিত্র।
সাহায্যের আর্তি জানিয়েছিলেন। সেই মতো যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজ়া থেকে উদ্ধার করা হল কাশ্মীরি মহিলা এবং তাঁর মেয়েকে। সাহায্য করল ইজ়রায়েলের ভারতীয় দূতাবাস। সোমবার সন্ধ্যায় গাজ়া থেকে রাফা সীমান্ত পেরিয়ে মিশরে প্রবেশ করেছেন লুবনা নাজির শাবু এবং মেয়ে করিমা।
গাজ়া থেকে সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে বার্তা দিয়ে সোমবার লুবনার স্বামী লিখেছেন, ‘‘ওঁরা (লুবনা এবং মেয়ে) এখন মিশরের আল-আরিশে রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কায়রো পৌঁছবেন।’’ গাজ়া থেকে স্থলপথে বার হওয়ার এক মাত্র রাস্তা হল রাফা ক্রসিং। সম্প্রতি গাজ়ায় সাহায্য পাঠানোর জন্য এবং বিদেশি, আহতদের চলাচলের জন্য এই ক্রসিং খোলা হয়েছে। সেই পথে বেরতে পারবেন বলে গত রবিবার ফোনে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন লুবনাও। এ জন্য তিনি ধন্যবাদ দিয়েছিলেন রামাল্লা, তেল আভিভ এবং কায়রোর ভারতীয় দূতাবাসকে।
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় গাজ়ার হয়ে অস্ত্র ধরা হামাস গোষ্ঠী। ইজ়রায়েলে ঢুকে ২৪০ জনকে পণবন্দি করে নিয়ে আসে তারা। পাল্টা গাজ়ায় হামলা চালায় ইজ়রায়েলের সেনা। তাতে এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ যাদের দুই তৃতীয়াংশ শিশু ও মহিলা। ১০ অক্টোবর পিটিআইকে বার্তা দিয়ে বাঁচানোর আবেদন জানিয়েছিলেন কাশ্মীরি লুবনা। তিনি জানান, ৯ অক্টোবর মাঝরাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তার জেরে দক্ষিণে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পরেই গাজ়া ছেড়ে বার হওয়ার জন্য সাহায্য চান তাঁরা। তিনি এও জানিয়েছিলেন, তার আগে এই ধরনের ঘটনা দেখননি। অনেক পরিবারই হামলার কারণে ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। এর পরেই লুবনা বলেন, ‘‘আমরা কোথাও যেতে পারছি না। কারণ যাওয়ার জায়গা নেই। গাজ়া স্ট্রিপ এতটাই সঙ্কীর্ণ যে সমস্ত অঞ্চলই সীমান্তের কাছে। বাইরে বেরনোর পথও নেই।’’
লুবনা এও জানিয়েছিলেন যে, রামাল্লায় ভারতীয় দূতাবাসের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, স্বামী এবং মেয়ের সঙ্গে তাঁকে যেন উদ্ধার করা হয়। কী ভাবে গাজ়ায় লুবনা গিয়েছেন, তিনি সেখানে থাকেন কি না, সে বিষয়ে বিশদে জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy