ছবি: এএফপি।
বড়দিনে বিস্ফোরণ হল কাবুলে। আজ সকালে ব্যস্ত সময়ে আফগানিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার দফতরের সামনে নিজেকে উড়িয়ে দেয় এক আত্মঘাতী জঙ্গি। সাত জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। জখম তিন। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
সপ্তাহের প্রথম দিনে ব্যস্ত রাস্তায় তখন অফিসযাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা নাগাদ পায়ে হেঁটে ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি (এনডিএস)-র অফিসের সামনে হাজির হয় এক জঙ্গি। এর পরেই নিজেকে উড়িয়ে দেয় সে।
বিস্ফোরণের সময়ে ঠিক পাশ দিয়েই যাচ্ছিল একটি টয়োটা গাড়ি। বিস্ফোরণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেটি। নিহত হন যাত্রীরা। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
হামলার কারণ এখনও জানা না গেলেও দায় নিয়েছে আইএস। তাদের মুখপত্র ‘আমাক’-এ একটি বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত কাবুলকে নিশানা করে জঙ্গি হামলা চলছেই। গত সপ্তাহে এনডিএসেরই একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র লক্ষ করে হামলা চালানোর চেষ্টা করে জঙ্গিরা। তবে সে বার হামলার আগেই জঙ্গিদের রুখে দিয়েছিল পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ পুলিশ-জঙ্গি গুলিযুদ্ধের পরে খতম হয়েছিল দুই জঙ্গিও। সেই হামলারও দায় নেয় ইসলামিক স্টেট। এ দিনও ওই বিশেষ গুপ্তচর সংস্থাটিকে নিশানা করেই হামলা হয়েছিল দাবি পুলিশের।
২০১৫ সাল থেকেই গোটা আফগানিস্তান জুড়ে ক্রমশ জাল ছড়াচ্ছে আইএস। গত ৩১ মে কাবুলের কূটনৈতিক এলাকার সামনে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। প্রাণ যায় অন্তত ১৫০ জন সাধারণ মানুষের। জখম হন চারশোরও বেশি। এর পরেই রাজধানী শহরের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেয় আফগান সরকার। গত শুক্রবার দক্ষিণ আফগানিস্তানের কন্দহর এলাকায় পুলিশের একটি ভবনের চত্বরে বিস্ফোরক নিয়ে ঢুকে পড়ে এক আত্মঘাতী জঙ্গি। ওই হামলাটির দায় নিয়েছিল তালিবান।
আফগানিস্তানে আইএসের মোকাবিলায় তালিবানকে মদত দিতে শুরু করেছে রাশিয়া-পাকিস্তান-চিনের এক নয়া অক্ষ। ফলে কপালে ভাঁজ বেড়েছে দিল্লির কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy