ফাইল চিত্র।
হোয়াইট হাউসে এলে তাঁর প্রথম কাজই হবে শক্ত হাতে করোনার মোকাবিলা। নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চে তো বটেই জেতার পরেও এই কথা বারবার শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। কথার খেলাপ করেননি আমেরিকার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অভিষেকের পর দিনই অতিমারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কমপক্ষে ১০টি সরকারি ফরমানে সই করলেন বাইডেন। রাজনীতি নয়, বিজ্ঞানের ভিত্তিতেই জাতীয় স্তরের এই পরিকল্পনা গঠিত হয়েছে, দাবি প্রেসিডেন্টের। একই সঙ্গে প্রাক্তন ট্রাম্প প্রশাসনের দিকে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এই বিস্তারিত ‘স্ট্র্যাটেজির’ ভিত সত্যের উপর দাঁড়িয়ে। পরিস্থিতির থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকার ফিকির নয়।’’
বাইডেনের এই ‘কোভিড-১৯ স্ট্র্যাটেজি’ নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে। এই নয়া নির্দেশগুলি সেই পরিকল্পনারই প্রাথমিক ধাপ, মত বিশেষজ্ঞদের। যার অঙ্গ হিসেবে টিকাকরণ এবং কোভিড পরীক্ষার হার, দুই-ই আরও বাড়ানোর ছাড়াও স্কুল ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি ফের খোলা এবং দেশবাসীদের নিয়মিত মাস্ক পরা বাড়ানো সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার।
আমেরিকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রেও কড়া নিয়মাবলির ঘোষণা করা হয়েছে। যার অন্তর্গত মাস্ক পরার বিধি অমান্য করলে আমেরিকান যাত্রীদের ক্ষেত্রেও যেমন কঠিন পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, নিয়ম আরও কড়া করা হয়েছে বাইরে থেকে সে দেশে যাওয়া যাত্রীদের জন্যও। জানানো হয়েছে, এ বার থেকে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট জমা করলেই একমাত্র আমেরিকায় পা রাখার অনুমতি পাবেন বিদেশি পর্যটকেরা।
প্রায় ১৯৮ পাতার পরিকল্পনাটি প্রকাশিত হয়েছে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি-সহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা এবং বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানেই এই পরিকল্পনার রূপায়ণ হয়েছে, জানান বাইডেন। অতিমারি মোকাবিলায় ফাউচির মতো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বারবারই অবহেলা করতে দেখা গিয়েছে ট্রাম্পকে। পরোক্ষে সেই প্রসঙ্গ টেনে বাইডেন বললেন,‘‘প্রেসিডেন্ট নয় বরং ডক্টর ফাউচি এবং আইনি ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের কথাই এ বার থেকে বেশি শুনবেন আপনারা।’’ ফাউচি এ দিন বলেন, ‘‘গ্রীষ্মের শেষ হতে হতে ৮৫% মানুষের টিকাকরণ আমেরিকার পক্ষে সম্ভব। তা করাও হবে।’’ একই সঙ্গে ‘হেলথ ইকুইটি টাস্ক ফোর্স’ গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। সংখ্যালঘু এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষেরাও যাতে সরকারি সুবিধেগুলি পায়, সে দিকে নজর রাখার দায়িত্বে থাকবে তারা। পর্যাপ্ত প্রতিষেধক সরবরাহ এবং সেই সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত একটি আদেশপত্রেও সই করেছেন বাইডেন। অতিমারি মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রদেশকে আর্থিক ভর্তুকি দেওয়ার কথাও বলেছেন বাইডেন।
অন্য দিকে ভারতে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’ ১০ ডলারের থেকেও কম দামে পাওয়া যাবে বলে জানাল রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)-এর তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে এই প্রতিষেধক আনুমানিক ৭৩০ টাকা দরে পাওয়া যাবে। বিশ্ব জুড়ে মোটামুটি একই দাম রাখা হবে বর্তমানে তৃতীয় দফার ট্রায়াল পর্যায়ে থাকা এই ভ্যাকসিনটির। জানিয়েছে আরডিআইএফ। ফলে দামের নিরিখে অন্তত বেশির ভাগ প্রতিষেধককেই টেক্কা দিতে তৈরি এই রুশ প্রতিষেধক।
এ দিন অতিমারি পরিস্থিতির কারণে টোকিয়ো অলিম্পিক বাতিলের খবর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে জাপান। এ দিকে নয়া স্ট্রেনের দাপট বাড়ায় খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের সীমান্তগুলি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে পর্যালোচনা চালাচ্ছে ব্রিটেন প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy