জো বাইডেন এবং শি জিনপিং।
সম্প্রতি আমেরিকাকে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এ বার তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রেখে কোন কোন ক্ষেত্রে একে অপরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে দুই দেশ, তা নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আয়োজিত জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনা হতে পারে। রবিবার এমনটাই জানালেন হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক।
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় থেকেই দুই দেশের মধ্যে ‘বৈরি’ সম্পর্কে তৈরি হয়। সেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয় সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ান জট এবং ইউক্রেন যুদ্ধে দুই দেশের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে। সেই আবহে বাইডেন এবং শিয়ের মধ্যে বৈঠক ভূকৌশগলগত দিক দিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের একাংশ। রবিবার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেন, ‘‘দুই দেশের মধ্যে কী ভাবে সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখা যায় এবং তার জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে জোর দেওয়া উচিত, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এই আলোচনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করতে চান জো বাইডেন।’’
পাশাপাশি, সালিভান জানান, চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নিজের অবস্থান সম্পর্কে বাইডেনের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব চান না প্রেসিডেন্ট। কী ভাবে সেই দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব, মূলত তা-ই নিয়েই আলোচনায় বসবেন বাইডেন এবং শি।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে সংবাদমাধ্যমে শি বলেছেন, ‘‘আমেরিকা ও চিন বিশ্বের দুই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। দুই দেশের উচিত পারস্পরিক স্বার্থরক্ষায় সহযোগিতা এবং সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা।’’ বাইডেনও পরে বলেন, “তাইওয়ান নিয়ে আমাদের উদ্বেগ থাকলেও চিনের সঙ্গে আমেরিকা সংঘাতে যেতে চায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy