লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র এরিক গারসেটি। ছবি সংগৃহীত।
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র এরিক গারসেটি ভারতে আমেরিকার পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা ঘোষণা করার পরে ৫০ বছর বয়সি গারসেটি বলেন, ‘‘এই দায়িত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি।’’ গারসেটির মনোনয়নে আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সম্প্রদায় থেকে শুরু করে আইনসভার প্রতিনিধিরা, সকলেই উৎফুল্ল।
সেনেটর ডায়ান ফিনস্টিন যেমন বলেন, ‘‘মেয়র গারসেটিকে এই পদে বেছে নেওয়াটা দুর্দান্ত ব্যাপার। আন্তর্জাতিক অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারতের গুরুত্ব বাড়তেই থাকবে। সুতরাং সে দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এমনই একটি শক্তিশালী হাতের প্রয়োজন ছিল।’’ গারসেটি নিজে তৃতীয় প্রজন্মের অভিবাসী। সকলের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগসুবিধা এবং ন্যায়, আমেরিকার এই দুই নীতির প্রচার ভারতেও তিনি চমৎকার ভাবে করতে পারবেন বলে ডায়ানের বিশ্বাস।
একই সুরে আমেরিকান কংগ্রেসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তি বলেন, আমেরিকা-ভারত সম্পর্ক এবং বিশেষত অতিমারি আবহে পারস্পরিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারিকে আরও মজবুত করার ক্ষেত্রে গারসেটির মনোনয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ‘‘বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মধ্যে সহযোগিতার বন্ধন তৈরির কাজে গারসেটি যে ভাবে লস অ্যাঞ্জেলেসকে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় নিয়ে গিয়েছেন, সেই অভিজ্ঞতা এ বারে বিশ্বের বৃহত্তম (ভারত) আর প্রাচীনতম (আমেরিকা) গণতন্ত্রের মধ্যে বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে কাজে লাগবে।’’ সিলিকন ভ্যালির ভারতীয় উদ্যোগপতি এম আর রঙ্গস্বামী মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গারসেটিকে ভারতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেছে নিয়ে বাইডেন বুঝিয়ে দিলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে তিনি কতটা গুরুত্ব দেন। আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের প্রশাসনে নেতৃত্ব দেওয়ার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং বাইডেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, এই দু’টোই গারসেটির সম্পদ হতে চলেছে। বাইডেনের নির্বাচনী প্রচার-দলে গারসেটি সহযোগী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, জানাচ্ছে ইন্ডিয়াস্পোরা নামে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
আমেরিকান কংগ্রেসের ভারত-ককাসের সহযোগী চেয়ারম্যান ব্র্যাড শেরম্যানও মুক্ত কণ্ঠে গারসেটির মনোনয়নকে স্বাগত জানিয়েছেন। লস অ্যাঞ্জেলেস প্রশাসনের ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, গারসেটি এক জন রোডস স্কলার। এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর আছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক ডেপুটি মেয়র হিসেবে তিনি অত্যন্ত কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। কাজ করেছেন আমেরিকার নৌবাহিনীতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy