ফের ডোনাল্ড ট্রাম্প (বাঁ দিকে) নাকি জো বাইডেন, আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। —ফাইল চিত্র
সদ্য হওয়া তিনটি জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত, তাঁকে বেশ খানিকটা পিছনে ফেলে দিয়েছেন তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। একটি খবরের চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও প্রায় বলেই ফেললেন যে, বাইডেনই প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন, কারণ দেশের কিছু মানুষ তাঁকে ভালবাসেন না।
সাক্ষাৎকারের শুরুটা হয়েছিল বাইডেনকে আক্রমণ করেই। অতিমারি মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং লকডাউনের জেরে আর্থিক মন্দা নিয়ে দেশের তাবড় সেলিব্রিটিরা পর্যন্ত মুখ খুলেছেন। সেই সঙ্গে বর্ণবিদ্বেষ-বিরোধী আন্দোলনে ট্রাম্পের সেনা পাঠানোর হুমকিও ভাল চোখে নেননি অনেকেই। সাক্ষাৎকারটির ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে বাইডেনও প্রেসিডেন্টকে বিঁধে বলেছেন, ‘‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ট্রাম্প শিশুদের মতো আচরণ করেছেন। মনে হচ্ছে ওঁকে ছাড়া আমাদের সকলের উপরেই প্রভাব ফেলেছে এই অতিমারি।’’ ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর এই বক্তব্যেরই প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল ট্রাম্পের কাছে। যার জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রথমে বাইডেনের এক গুচ্ছ সমালোচনা করেন। তার পরেই বলেন, ‘‘একটা লোক ভাল করে কথা পর্যন্ত বলতে পারে না। অথচ উনিই আপনাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। কারণ এ দেশেরই কিছু মানুষ আমায় ভালবাসেন না হয়তো।’’ তার পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি আমার কাজটাই করছি।’’
বেশ কিছু সমীক্ষা আবার এ-ও বলছে, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে বাড়ছে বর্তমান প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা। মিশিগান, ফ্লরিডা, টেক্সাস, পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়ার মতো প্রদেশে ৫০ শতাংশেরও বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাইছেন, ট্রাম্পই ফের প্রেসিডেন্টের গদিতে বসুন। অথচ আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে ডেমোক্র্যাটদেরই সমর্থন করারই প্রবণতা ছিল এত দিন। হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সচিব সারা ম্যাথিউস সাংবাদিকদের জানান, ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এমন সমর্থন পেয়ে প্রেসিডেন্ট অভিভূত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, প্রথম থেকেই ভারতের সঙ্গে
সুসম্পর্ক গড়ে তোলায় জোর দেন ট্রাম্প। তাই নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা সফরে এলে হাউডি মোদী ও ট্রাম্প ভারতে গেলে কেমছো ট্রাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। সারা বলেছেন, ‘‘আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতিতে ভারতীয়-মার্কিন নাগরিকদের অবদানকে প্রেসিডেন্ট গুরুত্ব দেন।’’
এ দিকে, মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের অর্থ খরচ করার অধিকার ট্রাম্প প্রশাসনের নেই বলে রায় দিয়েছে মার্কিন ফেডারেল আপিল আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy