জঁ কাসতেক্স। —ফাইল চিত্র।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ২০১৭-য় ক্ষমতার আসার পরে টানা তিন বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। জনপ্রিয়তার নিরিখে কিছু সমীক্ষায় তিনি সুদর্শন মাকরঁকেও হার মানিয়েছেন। সেই এদুয়ার্দ ফিলিপ শুক্রবার প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করে আজই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জঁ কাসতেক্সের নাম ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, পদত্যাগ করলেও নতুন প্রধানমন্ত্রী বহাল হওয়ার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন ফিলিপই। সম্ভবত রবিবারের মধ্যেই সেই রদবদল হয়ে যেতে পারে বলে জল্পনা প্রশাসনের অন্দরে।
৫৫ বছরের কাসতেক্স এত দিন দক্ষিণ ফ্রান্সের প্রেদসের মেয়রের দায়িত্ব সামলেছেন। ফিলিপের মতো জনপ্রিয় না হলেও অভিজ্ঞ প্রশাসক হিসেবে নামডাক রয়েছে। করোনা-আবহে ফ্রান্সে কী ভাবে লকডাউন তোলা হবে, তার নীল নকশা তৈরির সময়ে কাসতেক্সের উপরেই ভরসা রেখেছিলেন ফিলিপ। কিন্তু তাঁকে সরতে হল কেন?
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, করোনায় অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত সরকার। সম্প্রতি স্থানীয় ভোটেও খারাপ ফল করেছে মাকরঁর দল। কোনও বড় শহরেই তাঁরা জিততে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনে রদবদল এনে সরকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন অনেকে। মাকরঁ নিজেও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ‘পুনর্জাগরণ’ ও ‘নতুন পথ’ খোঁজার কথা বলেছেন তিনি। বিরোধী মহলে অবশ্য গুঞ্জন, আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে প্রেসিডেন্টের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে কারণ যা-ই হোক-না কেন, ফ্রান্সে এই ধরনের রদবদল নতুন নয়। পূর্ণমেয়াদের পাঁচ বছরে প্রশাসনে আগেও বড় রদবদল এনেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা। তবে মাকরঁ সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঠিক কি না, করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতেই জবাব মিলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy