ইভাঙ্কা ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র
করোনা-সংক্রমণের গতি অব্যাহত মার্কিন মুলুকে। ১৩ লক্ষ আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৭৮ হাজারেরও বেশি। এ বার সংক্রমণের ধাক্কা হোয়াইট হাউসের অন্দরেও। পরপর তিন জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর। প্রথম জন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মুখপাত্র কেটি মিলার। দ্বিতীয় জন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কার ব্যক্তিগত সহকারী। তৃতীয় জন ট্রাম্পেরই এক ব্যক্তিগত গৃহ-সহায়ক।
কিন্তু সংখ্যাটা ‘তিনেই’ আটকে থাকবে কি না, সে নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারও ট্রাম্পের একটি অনুষ্ঠানে কেটিকে দেখা গিয়েছিল। সেখানে অতিথি-অভ্যাগতের সংখ্যা নেহাত কম ছিল না। উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্প ও পেন্সের স্ত্রীরাও। তা ছাড়া কেটির স্বামী স্টিফেনও হোয়াইট হাউসের অভিবাসন দফতরের উপদেষ্টা। ট্রাম্প ও পেন্স, দু’জনেরই নিয়মিত পরীক্ষা হয়। কেটির রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরে তাঁদের টেস্ট হয়েছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
ইভাঙ্কার সহকারী দু’মাস ধরে বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন। তাঁর উপসর্গও ছিল না। নিছক সাবধানতা বজায় রাখতে করোনা-পরীক্ষা করান। তাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ইভাঙ্কা ও তাঁর স্বামী জ্যারেড কুশনারেরও রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রথম, জেনেরিক রেমডেসিভির তৈরির দাবি বাংলাদেশি সংস্থার
বিশ্বে করোনা
মৃত: ২,৭৮,৯১৮
আক্রান্ত: ৪০,৭৪,৭২৯
সুস্থ: ১৪,১৭,৬৬৩
এই পরিস্থিতিতেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘দাওয়াই’য়ের কমতি নেই। রিপাবলিকানদের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘‘ভ্যাকসিন ছাড়াই করোনাভাইরাস চলে যাবে।’’ আমেরিকায় মোট কত মৃত্যু হতে পারে, গত দু’সপ্তাহে সে নিয়েও বিভিন্ন সংখ্যা ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ করেছেন তিনি। প্রথমে ‘৬০-৭০ হাজার’, তার পর ‘এক লাখের মধ্যে’, তার পর ‘এক লাখ তো মরবেনই’। এ দিন ফের জানিয়েছেন, ‘৯৫ হাজার বা তার বেশি মৃত্যু’ হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
এ দিনের অনুষ্ঠানেই উঠে এসেছে, দেশে বেকারত্ব বেড়ে ১৪.৭ শতাংশ হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৩.৫ শতাংশ। আশঙ্কা, এপ্রিল মাসের মধ্যে অন্তত ২ কোটি মানুষ কাজ হারাবেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সমালোচনার মুখে ট্রাম্প-প্রশাসন। কূটনীতিকদের একাংশের মতে, বিশ্ব স্তরে যে কোনও সঙ্কটে আমেরিকাকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে এত দিন। কিন্তু এ বারে তারা সেই ভূমিকা পালন করছে না।
আরও পড়ুন: বাড়ছে বেকারত্ব, আমেরিকায় নতুন ভিসা পেতে সমস্যা হতে পারে ভারতীয়দের
বিশ্বে মোট করোনা-সংক্রমণের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু ২ লাখ ৭৮ হাজারেরও বেশি। সংক্রমণ ও মৃত্যু তালিকায় শীর্ষ স্থানে আমেরিকা। ইউরোপের পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভাল। ইটালি, ফ্রান্স একটু একটু করে দরজা খুলছে। কিন্তু বেলারুশের মতো দেশ আবার লকডাউনেরই বিরোধী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি অনুষ্ঠান এ বারেও রীতিমতো জাঁকজমক করে পালন করেছে তারা। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ৩ হাজার জন। এর জন্য বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কোকে ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও তর্কে ‘অবিচল’ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘করোনা-রুখতে অন্য দেশগুলো যা করছে, সব পাগলামো।’’ ইটালিরও আগে দরজা খুলেছে স্পেন। এ বার গরমের ছুটিতে সমুদ্র সৈকতে রোদ পোহানোতেও ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে তারা। তবে সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অর্ধেক লোককে সৈকতে যেতে দেওয়া হবে। পারস্পরিক দূরত্বও বজায় রাখতে হবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy