হামাস প্রধান ইসামাইল হানিয়া। — ফাইল চিত্র।
তিন পুত্র এবং তিন নাতি-নাতনিকে খুন করা হয়েছিল তিন মাস আগে। এ বার হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার পরিবারের আরও ১০ সদস্যকে হত্যা করল ইজ়রায়েলি সেনা। মঙ্গলবার উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের পাশে হানিয়ার পরিবারের বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজ়া আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
ইজ়রায়েলি ফৌজের হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়ার বোন জাহিরা হানিয়াও। গাজ়া কর্তৃপক্ষের জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বুধবার বলেন, ‘‘বিমান হামলায় ১০ জন শহিদ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বোন জাহরা রয়েছেন। কয়েক জনের দেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে। সেগুলি বার করে আনার মতো সরঞ্জাম এবং পরিকাঠামো আমাদের কাছে নেই।’’
উদ্ধারকর্মীরা অন্য দেহগুলি গাজার আল-আহলি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন বলেও জানান মাহমুদ। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে গাজ়া শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইজ়রায়েল ফৌজ। তাতে হানিয়ার তিন পুত্র— হাজেম, আমির ও মহাম্মদ ইসমাইল এবং তাঁর অন্তত তিন নাতি–নাতনি নিহত হয়েছিলেন। তাঁরা একটি গাড়িতে চড়ে শরণার্থী শিবির থেকে বেরোনোর সময় ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র গাড়িটিকে ধ্বংস করে দেয়।
প্রসঙ্গত, ইজ়রায়েলি সেনার হামলায় গত ফেব্রুয়ারিতেও তাঁর আর এক পুত্রের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে হানিয়ার ভাই এবং ভাইপোও গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার বলি হয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, কাতারের মধ্যস্থতায় গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইজ়রায়েলের সঙ্গে বৈঠকে হামাসের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন হানিয়া। বর্তমানে তিনি কাতারের রাজধানী দোহাতেই রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy