যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ ইজ়রায়েলে। ছবি: রয়টার্স।
প্রথমে স্থির হয়েছিল বৃহস্পতিবার থেকে গাজ়ায় শুরু হবে যুদ্ধবিরতি। শেষমেশ শুক্রবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা বিধ্বস্ত গাজ়া ভূখণ্ডে। বৃহস্পতিবারই কাতারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছিলেন, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। মূলত কাতার, মিশর এবং আমেরিকার যৌথ মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ বিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে যুযুধান হামাস এবং ইজ়রায়েলি সেনা। সরকারি ভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলে টানা সপ্তম সপ্তাহ ধরে চলা সংঘাতে খানিক লাগাম পড়তে পারে বলে আশা করছেন অনেকেই।
ইজ়রায়েলের সরকার জানিয়েছে, চুক্তির শর্ত মোতাবেক হামাস ইজ়রায়েল থেকে অপহৃত ২৪০ জনের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে মুক্তি দেবে। এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ১৩ জন মহিলা এবং শিশুকে। তবে তার বিনিময়ে ইজ়রায়েলের জেলে বন্দি ঠিক কত জন প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি তেল আভিভ। তবে ইজ়রায়েলের সরকারি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, প্রতি এক জন বন্দির বিনিময়ে তিন জন প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। চুক্তির পারিপার্শ্বিক শর্ত মেনে, গাজ়ায় যত দ্রুত সম্ভব মানবিক সাহায্য এবং ত্রাণ পাঠাতেও সাহায্য করবে ইজ়রায়েল। যদিও চুক্তির অনেক শর্তই এখনও পর্যন্ত অস্পষ্ট।
তবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার প্রাক্কালেও হামাসকে নিয়ে আশঙ্কা কাটছে না ইজ়রায়েলের। ইজ়রায়েলি সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির বক্তব্য, যুদ্ধবিরতির অজুহাতে হামাস গাজ়ায় ‘মনস্তাত্ত্বিক সন্ত্রাস’ শুরু করতে পারে। বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি দাবি করেন, এই সময়ের মধ্যে গাজ়ার বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় তৈরি করা, ভুল খবর ছড়ানোর কাজ করতে পারে হামাস। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, সংঘর্ষ বিরতি শেষ হওয়ার পরে তাঁরা হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চান। গাজ়ায় ওই প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর ১৬ বছরের শাসন দমন করতে চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy