পূর্ব জেরুসালেম এবং ইজ়রায়েল অধিকৃত পশ্চিম ভূখণ্ডে ১৪০টির-ও বসতিতে ৬ লক্ষ ইহুদির বাস।—ছবি রয়টার্স।
পশ্চিম ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলি বসতিগুলিকে আর বেআইনি বলে মনে করে না ট্রাম্পের প্রশাসন। সোমবার ঐতিহাসিক এই নীতি-বদলের কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। তিনি জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ওই বসতিগুলোকে যে চোখে দেখা হত, ট্রাম্প সরকার তা পাল্টে দিচ্ছে।
এই ঘোষণার পরেই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পম্পেয়োর প্রশংসা করে বলেছেন, ‘‘আমেরিকা এমন একটি নীতির কথা বলল যাতে ঐতিহাসিক একটি ভুল এ বার ঠিক হতে চলেছে।’’ যদিও ১৯৭৮ সালে মার্কিন বিদেশ দফতরের আইনি মতামত অনুযায়ী, ওই বসতিগুলি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী দাবি করে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইজ়রায়েলের সমর্থনে এই পদক্ষেপের ফলে ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে প্যালেস্তাইনি প্রশাসনের দ্বন্দ্ব আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি তাঁদের মত, ইউরোপে আমেরিকার যে সব বন্ধু-দেশ রয়েছে, টানাপড়েন তৈরি হবে তাদের মধ্যেও।
পম্পেয়ো সোমবার বলেছেন, ‘‘আইনি বিতর্কের সব দিক খতিয়ে দেখে মনে হয়েছে, পশ্চিম ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলি বসতিগুলি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে ওই বসতিগুলি এত দিন ধরে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলা হয়ে থাকলেও তা শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতিতে কোনও সাহায্য করেনি।’’
একটি ব্রিটিশ চ্যানেলের দাবি, ১৯৬৭ সাল থেকে পূর্ব জেরুসালেম এবং ইজ়রায়েল অধিকৃত পশ্চিম ভূখণ্ডে ১৪০টির-ও বসতিতে ৬ লক্ষ ইহুদির বাস। ওই বসতিগুলোকেই আন্তর্জাতিক আইনে বেআইনি বলে মনে করা হয়। প্যালেস্তাইনের দীর্ঘদিনের দাবি, ওই বসতি সরিয়ে দেওয়া হোক। পম্পেয়োর ঘোষণার পরে একটি মার্কিন দৈনিকে প্যালেস্তাইনের মুখ্য মধ্যস্থ সইব ইরেকাত বলেছেন, ‘‘ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনকে ‘জঙ্গলের আইনে’ পরিণত করার একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy