Islamic State Khorasan (IS-K) is a branch of the terror group that first emerged in Syria and Iraq dgtl
ISIS-K
Islamic State Khorasan: বিশ্বের নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-কে এ বার আফগানিস্তানে, কারা এই ‘খোরাসানি’
২০১৪-য় পাক তালিবান গোষ্ঠী টিটিপি-র নেতা হাফিজ সইদ খান আইএস-কে গঠন করেছিলেন। ২০১৬-য় আমেরিকার বিমান হানায় তিনি নিহত হন।
শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২১ ১১:০৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
ইসলামিক স্টেট-খোরাসান। সংক্ষেপে আইএস-কে। কাবুল বিমানবন্দরে হামলার জেরে আলোচনায় চলে এসেছে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম। আদতে এরা পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর আফগান শাখা।
০২১২
বর্তমান পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের একাংশ নিয়ে ছিল প্রাচীন খোরাসান অঞ্চল। আইএস-এর আফগান শাখা ওই অঞ্চলকে তাদের নামে জুড়ে নিয়েছে।
০৩১২
প্রায় দু’দশক আগে আইএস-এর প্রতিষ্ঠা করেন আল কায়দার ইরাকি শাখার প্রধান আবু মুসাব আল জারকোয়াই। সে সময় সংগঠনের নাম ছিল ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত (আইএসআইএল)।
০৪১২
তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডন, লেবানন, সাইপ্রাস, প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের একাংশ নিয়ে গঠিত ছিল প্রাচীন লেভান্ত ভূখণ্ড। পরে সাময়িক ভাবে সংগঠনের নাম হয় ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)।
০৫১২
গত কয়েক বছরে একাধিক বার আফগানিস্তানে নানা নাশকতায় আইএস-কের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি, তালিবান ঘাঁটিতেও আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। মূল সংগঠন আইএস-এর মতোই তাদের লক্ষ্য খিলাফতের (খলিফার শাসন) পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
০৬১২
পাক সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের নানগরহর, নুরিস্তান, কুনার প্রদেশ আইএস-কের ঘাঁটি। রাজধানী জালালাবাদ-সহ নানগরহরের বেশ কিছু এলাকাতেই শিবির রয়েছে তাদের। এখানেই হানা দিয়েছে আমেরিকার ড্রোন।
০৭১২
একদা পাশতুন ‘ওয়ারলর্ড’ গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের নিয়ন্ত্রণে ছিল নানগরহর। পরে তালিবানের দখলে যায়। এখানে সক্রিয় আইএস-কে গোষ্ঠীতে পাশতুনের পাশাপাশি আরব, পাক, উইঘুর এবং মধ্য এশিয়ার জঙ্গিরাও রয়েছে।
০৮১২
২০১৪-য় পাক তালিবান নেতা হাফিজ সইদ খান আইএস-কে গঠন করেন। তৎকালীন আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির অনুগামী হাফিজ ২০১৬-য় আমেরিকার বিমান হানায় নিহত হন। বাগদাদির মৃত্যু ২০১৯-এ সিরিয়ায়। আমেরিকার সেনার হামলায়।
০৯১২
২০১৫ সালে আফগানিস্তানে আইএস-কের প্রায় তিন হাজার জঙ্গি ছিল। তাদের বড় অংশই প্রাক্তন তালিবান। আমেরিকার সাহায্যে তাদের দমন করতে অভিযানে নামে আফগান সরকার। তাতে সাফল্যও মিলেছিল।
১০১২
ওসামা বিন লাদেনের জমানায় আল কায়দার সঙ্গে সখ্য ছিল আইএস-এর। পরবর্তী আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরির সময় দুই সংগঠনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। আল কায়দা ঘনিষ্ঠ তালিবানেরও বিরোধিতা শুরু করে আইএস।
১১১২
তালিবান এবং আইএস দু’টি সংগঠনই সুন্নি মুসলিম সংগঠন। কিন্তু তালিবান ইসলামের দেওবন্দি মতাদর্শের অনুসারি। আইএস অনুসরণ করে সালাফি মতবাদকে। সুফি মতবাদের কট্টর বিরোধী তারা।
১২১২
নৃশংসতায় তালিবানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে আইএস। তালিবান সংগঠনে মহিলারা না থাকলেও পশ্চিম এশিয়ায় আইএস যোদ্ধাদের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন মহিলা জিহাদিরা।