গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গত বছরে ভারতে আত্মঘাতী হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল ইসলামিক স্টেট খোরাসান গ্রুপ (আইএস-কে) । মঙ্গলবার মার্কিন সেনেটে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মার্কিন ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার-এর ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর রাসেল ট্র্যাভার্স। মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক চালায় আইএস-এর এই দলটি।
ট্র্যাভার্স জানান, আইএস-এর যে সব শাখা ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্ব জুড়ে, তার মধ্যে এই খোরাসান গ্রুপই সবচেয়ে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ আফগানিস্তানের বাইরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই দলটি। বেশ কয়েক বার হামলা চালানোর চেষ্টাও করেছে তারা। এ কথা বলতে গিয়েই ভারতে হামলার প্রসঙ্গটি তুলে ট্র্যাভার্স বলেন, “গত বছরে ভারতে আত্মঘাতী হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল খোরাসান গ্রুপ। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।”
ট্র্যাভার্স আরও জানিয়েছেন, খোরাসান গ্রুপের এই সক্রিয় নেটওয়ার্কই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আমেরিকার। গত মাসেই আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন ট্র্যাভার্স। তখনই মার্কিন সেনার কাছ থেকে এই উদ্বেগের কথা জানতে পারেন বলে দাবি ট্র্যাভার্সের। তিনি বলেন, “আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের খোরাসান গ্রুপের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আমেরিকাতে বড়সড় হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এই দলটি।”
আরও পড়ুন: ‘সিপাহি বিদ্রোহে’ স্তব্ধ রাজধানী, বিহিত চাই, প্রতিবাদে পথে পুলিশ
আরও পড়ুন: বিজেপিকে ‘সাফ’ করে একুশে আমরাই ফিরব, আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা মমতার
বছর দুয়েক আগেই নিউ ইয়র্কে এক বার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল খোরাসান গ্রুপ। কিন্তু এফবিআই সেই হামলা আটকে দেয়। ২০১৭-য় স্টকহলমেও হামলা চালায় এই দলটি। সেই হামলায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই দুই হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ট্র্যাভার্স বলেন, “এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট যে, আফগানিস্তানের বাইরে হামলা চালানোই এখন মূল লক্ষ্য খোরাসান গ্রুপের।”
গত সপ্তাহেই ট্র্যাভার্স মার্কিন সেনেটে জানিয়েছিলেন, বিশ্ব জুড়ে আইএস-এর ২০টি শাখা রয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। হামলা চালাতে তারা উন্নতমানের প্রযুক্তিও ব্যবহার করছে। ৯/১১-র পর থেকে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর হিড়িক যে ব্যাপক হারে বেড়েছে সেনেটে এমন দাবিও করেছেন ট্র্যাভার্স। সেই ঘটনার পর বাইরের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপের উপর নজর রাখা শুরু করে আমেরিকা। কিন্তু ঘরের মধ্যেই যে ধীরে ধীরে জঙ্গি বেড়ে উঠেছে সেটা খেয়ালই করা হয়নি। ফলে ৯/১১-এর ১৮ বছর পরেও আমেরিকাতেই বেড়ে ওঠা জঙ্গির সামনাসামনি হতে হচ্ছে দেশকে, এমনটাই মত ট্র্যাভার্সের। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, শুধু অভিযান চালিয়েই জঙ্গি দমন করা সম্ভব নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে মৌলবাদের গভীর শিকড়টাকে উপড়ে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে এর অন্তর্নিহিত কারণগুলোকেও খুঁজে বার করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy