ছবি: সংগৃহীত।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের পরে মার্কিন গোয়েন্দাদের নজরে এ বার চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ‘টিকটক’। এই অ্যাপের মাধ্যমে বেজিং কোনও ভাবে আমেরিকার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে কি না, কিংবা তারা গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য মজুত করে কোথাও পাচার করছে কি না, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই তার তদন্তে নামল ওয়াশিংটন।
দু’বছর আগে ১০০ কোটি ডলারে আমেরিকার তৈরি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ‘মিউজ়িক্যালি’ অধিগ্রহণ করে বেজিংয়ের টিকটক নির্মাতা সংস্থা বাইটডান্স টেকনোলজি। তার পর থেকেই টিকটকে মজেছে মার্কিন কিশোর-কিশোরীরা। টিকটকেরই দাবি, মাসে তাদের ২ কোটি ৬৫ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে ৬০ শতাংশ আমেরিকার ১৬ থেকে ২৪ বছরের ছেলেমেয়ে। চিনা অ্যাপের এই বিপুল আগ্রাসনই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের একটা বড় অংশকে।
সূত্রের খবর, ওয়াশিংটনের বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির তরফে যথাযথ ছাড়পত্র ছাড়াই ‘মিউজ়িক্যালি’ অধিগ্রহণ করেছিল বেজিংয়ের সংস্থাটি। সেই সূত্রেই কয়েক সপ্তাহ ধরে টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করছিল মার্কিন কংগ্রেসের একটা বড় অংশ। সম্প্রতি শুরু হওয়া তদন্ত নিয়ে টিকটক মুখ খুলতে না চাইলেও গ্রাহকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষা যে তাদের অগ্রাধিকার, তা জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: অস্ত্র তুলে নিতে শুরু করেছে স্থানীয়রা, জঙ্গি দলে যোগ বাড়ছে, কাশ্মীরে উদ্বিগ্ন প্রশাসন
স্পেশাল এফেক্ট-সহ ছোট-ছোট মজার ভিডিয়ো বানানো যায় টিকটকে। অ্যাপ-নির্মাতা সংস্থাটির দাবি, আমেরিকায় যাঁরা এই অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাঁদের তথ্য সব মার্কিন সার্ভারেই থাকে। যদিও মার্কিন সেনেটেরদের একাংশ গোড়া থেকেই বলে আসছেন, বাইটডান্স বরাবরই চিনা আইন মেনে চলে এবং তাদের কারবার আমেরিকার পক্ষে আদৌ নিরাপদ নয়। টিকটকের পাল্টা বক্তব্য, শুধু চিন নয়, কোনও সরকারই তাদের নিয়ন্ত্রণ করে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy