(বাঁ দিকে) ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ান এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
ইজ়রায়েল এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি চলছে। এর মধ্যেই আজ ব্রিকসের পার্শ্বমঞ্চে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ান। গত জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে এই প্রথম পেজ়েশকিয়ান মুখোমুখি হলেন মোদীর। দু’পক্ষের আলোচনায় উঠে এসেছে চলতি সংঘাতের বিষয়টি। প্রধানমন্ত্রী মোদী যত দ্রুত সম্ভব সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরান ঘনিষ্ঠ ভাবে রাশিয়ার সঙ্গে জোটবদ্ধ (আমেরিকা বিরোধী শক্তি হিসেবে) বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে। পেজ়েশকিয়ানের চলতি রাশিয়া সফরে দু’পক্ষের মধ্যে কৌশলগত চুক্তিও হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে বিষয়টি অনেক বেশি ভারসাম্য রক্ষার। কারণ, ইজ়রায়েল এবং ইরান উভয়েই নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র।
বিভিন্ন মঞ্চে নয়াদিল্লি যে আশঙ্কা বারবার ব্যক্ত করছে, তা হল, এই দুই দেশের সামরিক সংঘাত যেন গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে। বিশ্বব্যাপী তেলের দাম, বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে তা মারাত্মক আঘাত করতে পারে বলে আশঙ্কা নয়াদিল্লির। কারণ, এর সরাসরি প্রভাব পড়বে ভারতে।
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এই হামলার পরেই নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল নয়াদিল্লি। তার পর অবশ্য দু’পক্ষের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হলে ভারত বারবারই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রেখেছে। নিজেদের পুরনো অবস্থান ধরে রেখে প্যালেস্টাইন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। অন্য দিকে, ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সরাসরি হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। তাদের মদতপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লার সঙ্গেও বর্তমানে যুদ্ধ চলছে ইজ়রায়েলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy