সাম্প্রতিক ইজ়রায়েলি হানার পর গাজ়ার একটি বাড়ি। ছবি: রয়টার্স।
বড়সড় হামলার ছক কষছে ইরান? আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে ইজ়রায়েলের অন্দরে। রবিবার রাতেই হিজবুল্লা গোষ্ঠী উত্তর ইজ়রায়েলকে লক্ষ্য করে একাধিক রকেট বর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাকে বকলমে নিয়ন্ত্রণ করে ইরানই। পশ্চিম এশিয়ার একাধিক দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইরানের বিভিন্ন ‘ছদ্ম-প্রতিনিধি’। তাদের মধ্যে একটি যেমন হিজবুল্লা। তেমনই অপর এক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। জুলাই মাসে হিজবুল্লা ও হামাস দুই গোষ্ঠীই বড় ধাক্কা খেয়েছে। হিজবুল্লা নেতা ফুয়াদ সুকারের মৃত্যু হয়েছে ইজ়রায়েলি হানায়। অপর একটি হামলায় হামাস শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ারও মৃত্যু হয়েছে গত মাসেই। ইরানের দাবি, ওই হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলই। তখন থেকেই ইরান হুমকি দিয়ে রেখেছে, ইজ়রায়েল যেন প্রত্যুত্তরের জন্য প্রস্তুত থাকে।
ইজ়রায়েল সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, লেবানন থেকে প্রায় ৩০টি রকেট বর্ষণ করা হয়েছে। তবে বড়সড় কোনও বিপত্তি হয়নি। ইজ়রায়েলের দাবি, বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই পরিত্যক্ত জমিতে গিয়ে পড়েছিল। রবিবার হিজবুল্লা গোষ্ঠীর হানার পর, পরিস্থিতি নিয়ে আরও উদ্বিগ্ন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিব লয়েড অস্টিনের সঙ্গে কথা বলেছেন নেতানিয়াহুর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। সেখানে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইরানের সম্ভব্য সামরিক হামলার আশঙ্কা নিয়ে। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশ, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হামলা চালাতে পারে ইরান।
পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার অন্যতম বিশ্বস্ত সঙ্গী ইজ়রায়েল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ওয়াশিংটনও। পেন্টাগন থেকে আগেই পশ্চিম এশিয়ায় আরও বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে খবর, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ বার একটি সামরিক ডুবোজাহাজ পশ্চিম এশিয়ায় পাঠাচ্ছে আমেরিকা।
তবে পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে রয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। এক দিকে যখন ইজ়রায়েল দফায় দফায় যোগাযোগ করছে আমেরিকার সঙ্গে, অন্য দিকে তখন ইরানও যোগাযোগ রাখছে চিনের সঙ্গে। ইরানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আলি বাঘেরি সোমবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং য়ি-র সঙ্গে কথা বলেছেন। বাঘেরি তাঁকে জানিয়েছেন, আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে ইজ়রায়েলকে জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে ইরানের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy