ট্রাম্প ঘোষণা করেন, মার্কিন নৌবাহিনী নিরাপত্তার স্বার্থে ইরানের ড্রোন ধ্বংস করেছে।
তাদের ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে বলে আমেরিকা যে দাবি করেছে, তা সত্য নয় বলে উড়িয়ে দিল ইরান। একই সঙ্গে তাদের কটাক্ষ, ‘‘দেখো, ভুল করে নিজেদের ড্রোনই ধ্বংস করে ফেলেছে নাকি আমেরিকা।’’ এ দিনই পরে রাতের দিকে খবরে জানা যায়, ব্রিটেনের পতাকাবাহী একটি তেলের ট্যাঙ্কার হরমুজ প্রণালীতে আটক করেছে ইরানের রেভোলিশনারি গার্ড। ইরানি সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি মার্কিন অফিসারেরাও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
গত কাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালীতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরানের ড্রোন নামিয়েছে তাদের যুদ্ধজাহাজ ‘বক্সার’। জবাবে ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড আজ জানিয়েছে, তারা শীঘ্রই কিছু ছবি প্রকাশ করবে। তাতেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, ট্রাম্প কতটা অসত্য বলছেন!
গত জুন থেকে পারস্য উপসাগরে ইরানে-আমেরিকা চাপানউতোর চলছে। আমেরিকার একটি ১৩ কোটি ডলারের ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নামায় ইরান। তারা দাবি করেছিল, ইরানের আকাশসীমায় ঢুকেছিল মার্কিন ড্রোনটি। স্বাভাবিক ভাবে, ইরানের যুক্তি মানতে চায়নি ওয়াশিংটন। পাল্টা জবাব দিতে ইরানের উপরে সামরিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেয় ট্রাম্প প্রশাসন। শেষ মুহূর্তে তারা পিছিয়ে যায়। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, হামলা চললে বহু মানুষ প্রাণ হারাবেন। তবে বিভিন্ন ভাবে ইরানকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে আমেরিকা। কখনও বলা হয়, সিরিয়া-ইয়েমেনের ভূমিকা নিয়েছে ইরান। কখনও অভিযোগ করা হয়, তারা বিদেশি তেলের ট্যাঙ্কারে মাইন বসাচ্ছে। ৪ জুলাই জিব্রাল্টারের কাছে ইরানের তেলের ট্যাঙ্কার বাজেয়াপ্ত করে ব্রিটেন। দাবি করা হয়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই ট্যাঙ্কার সিরিয়া যাচ্ছিল। ইরান বলে, ‘‘এটা জাহাজ ছিনতাই।’’ এর কয়েক সপ্তাহ পরেই ব্রিটেনের ট্যাঙ্কার আটকায় ইরান। গত কাল ট্রাম্প ঘোষণা করেন, মার্কিন নৌবাহিনী নিরাপত্তার স্বার্থে ইরানের ড্রোন ধ্বংস করেছে। কারণ, হরমুজ প্রণালীতে রণতরীটির হাজার গজের মধ্যে ড্রোনটি চলে এসেছিল।
কিন্তু আমেরিকার দাবি উড়িয়ে ইরানের উপ-বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি আজ টুইট করেন, ‘‘হরমুজ প্রণালী বা অন্য কোথাও আমাদের কোনও ড্রোন ধ্বংস করা হয়নি। আমার আশঙ্কা, আমেরিকার ‘বক্সার’ ভুল করে নিজেদের ইউএএস (আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেম) ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধ্বংস করে ফেলেছে।’’ রেভোলিউশনারি গার্ডের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘শীঘ্রই আমাদের ড্রোনের তোলা কিছু ছবি প্রকাশ করা হবে। আর তাতেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ওদের দাবি কতটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy