লেবানন সীমান্তে সক্রিয় ইজ়রায়েলি সেনা। ছবি: সংগৃহীত।
ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে এ বার যুদ্ধে ‘চতুর্থ হ’। গাজ়ার হামাস, লেবাননের হিজ়বুল্লা, ইয়েমেনের হুথি সশস্ত্র গোষ্ঠীর পরে ইরানের ইমাম হুসেন ব্রিগেডের যোদ্ধারাও ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে সীমান্তে।
ইতিমধ্যেই ইরান থেকে ইমাম হুসেন ব্রিগেডের কয়েক হাজার যোদ্ধা সিরিয়ার পথ ধরে লেবানন-ইজ়রায়েল সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছেন বলে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সূত্রের উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে। ওই দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর কমান্ডার জুলফিকর।
ইজ়রায়েলি সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল অ্যাভিচে অ্যাদ্রে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘কমান্ডার জুলফিকর-সহ ইমাম হুসেন ব্রিগেডের একটি দল দক্ষিণ লেবানন সীমান্তে পৌঁছেছে বলে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর রয়েছে।’’ ইজ়রায়েল সেনার দাবি, লেবাননের হিজ়বুল্লা যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিতেই ইরান সেনার প্রশিক্ষিত এই বাহিনী সেখানে পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, সরাসরি ইরান সেনার অংশ না বলেও ইমাম হুসেন ব্রিগেডকে প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র ও অর্থসাহায্য করে তেহরান। অতীতেও লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার সঙ্গে যৌথ ভাবে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে লড়েছে এই বাহিনী। গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামলাকারী হামাসের আল কাসাম ব্রিগেডের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ইমাম হুসেন ব্রিগেডের। আসাদ বাহিনীর হয়ে সে দেশের গৃহযুদ্ধেও অংশ নিয়েছে এই বাহিনী।
অক্টোবরের শেষপর্বে লেবাননে হিজ়বুল্লা প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরুল্লার সঙ্গে হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-অরউরি এবং আর এক প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘প্যালেস্তিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ’ (পিআইজে)-এর শীর্ষনেতা জিয়াদ আল-নাখালার গোপন বৈঠক হয়েছিল। সেখানে তেহরানের এক প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন বলে ‘খবর’। ওই বৈঠকে যৌথভাবে একাধিক ‘ফ্রন্টে’ ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বৈঠকের পরেই তেল আভিভের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইয়েমেনের বিদ্রোহী শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হুথি’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy