বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনকে ত্বরান্বিত করা গণঅভ্যুত্থানে মৃতদের ‘জুলাই শহিদ’ স্বীকৃতি দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি ওই সময়ে আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে! সোমবার এ কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
বাংলাদেশে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা দেশের জন্য লড়াই করেছেন, তাঁদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে জনরোষের একটি অন্যতম কারণ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের কোটা। এর থেকেই সূত্রপাত হয় বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের। এ বার হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে জড়িতদের স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগী হল মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারও। বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘বাসস’ জানিয়েছে, ‘জুলাই শহিদ’দের পরিবার এবং ‘জুলাই যোদ্ধা’দের জন্য একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তাঁরা বিভিন্ন সরকারি সুযোগসুবিধার পাশাপাশি আজীবন চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। মিলবে ভাতাও।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফারুক জানান, জুলাই-অগস্টের আন্দোলনে আহতেরা তিনটি ভাগে সরকারি সহায়তা পাবেন। গুরুতর আহতেরা এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। যাঁদের অঙ্গহানি হয়েছে, তাঁরা এককালীন তিন লক্ষ টাকা এবং প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। যাঁরা সামান্য আহত হয়েছেন, চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের চাকরি এবং পুনর্বাসনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে তাঁরা কোনও ভাতা পাবেন না। পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনে মৃত (জুলাই শহিদ)-দের পরিবারকে এককালীন ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলেও জানান ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন:
জুলাই-অগস্টের আন্দোলনে আহতদের তালিকা যাচাইয়ের বিষয়েও ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের প্রশাসনিক স্তরে। এ ছাড়া ‘ভুয়ো মুক্তিযোদ্ধাদের’ শনাক্ত করার পথেও এগোতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফারুক জানান, মুক্তিযুদ্ধ না করেও বিভিন্ন জায়গায় অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। তাঁদের চিহ্নিত করা উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।