ইউক্রেনকে নেটোর সদস্য করতে চাইছেন না আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের দিকে জোর দিতে দেখা যাচ্ছে আমেরিকাকে। শীঘ্রই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন ট্রাম্প। রবিবার ট্রাম্প জানান, সাক্ষাতের সময় এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে তা দ্রুতই হতে চলেছে। কয়েক দিন আগেই পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে ট্রাম্পের। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিশ্বাস করেন যে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে চান পুতিন।
আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে রয়েছেন। সেখানে রাশিয়ান কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে আমেরিকার প্রতিনিধিদলের। এই আবহে রবিবার ট্রাম্প নিজেই জানালেন, শীঘ্রই পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তবে শুধু পুতিনই নয়, ট্রাম্পের মতে, ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিও যুদ্ধে ইতি টানতে চান।
যদিও জ়েলেনস্কি মনে করছেন রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর কোনও ইচ্ছাই নেই পুতিনের। সে জন্য ইউরোপীয় দেশগুলিকে পাশে পেতে চাইছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি ইউরোপীয় দেশগুলির একটি মিলিত সামরিক বাহিনীর পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোয় ইউক্রেনকে যুক্ত করতে ট্রাম্পের অনীহার পরেই ইউরোপীয় সামরিক বাহিনীর কথা বলতে শোনা যায় জ়েলেনস্কিকে।
আরও পড়ুন:
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আমেরিকা-রাশিয়া সম্ভাব্য আলোচনার দিকে নজর রাখছে ইউরোপীয় দেশগুলিও। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ইউক্রেন প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলিকে নিয়ে সম্মেলন ডেকেছেন। এখনও পর্যন্ত যা খবর, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ়, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের থাকার কথা ওই সম্মেলনে। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারও থাকতে পারেন সম্মেলনে। ব্রিটেন বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ না-হলেও ফ্রান্স চাইছে ইউক্রেন প্রসঙ্গে আগামী আলোচনাগুলিতে তারাও যোগ দিক। ঘটনাচক্রে, রবিবার রাতেই স্টার্মার জানিয়েছেন শান্তি ফেরাতে ব্রিটিশ বাহিনীকে তিনি ইউক্রেনে পাঠাতে প্রস্তুত।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে আমেরিকার কূটনৈতিক অবস্থান ঘিরে গোটা বিশ্বে আলোচনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্প ইউক্রেনকে নেটোয় নিতে রাজি না-হতেই ইউরোপে ‘নতুন বন্ধু’র খোঁজ শুরু করেছেন জ়েলেনস্কি। তবে যুদ্ধ থামানোর জন্য কোনও সম্ভাব্য পথই বন্ধ রাখছেন না জ়েলেনস্কি। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, রবিবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পৌঁছে গিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার বৈঠকের কথা রয়েছে।