পাকিস্তান নিয়ে তিতিবিরক্ত তালিবান গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দু’মাসের উপর ক্ষমতা দখল করলেও এখনও আফগানিস্তানে সরকার গঠন করতে পারেনি তালিবান। ক্রমেই তাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ পাচ্ছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সামনে। আফগানিস্তান দখল করতে যে পাক বাহিনী তাদের সাহায্য করেছিল, সেই পাকিস্তানকে নিয়েই এখন তিতিবিরক্ত বেশ কয়েক জন তালিব শীর্ষনেতা। সব বিষয়ে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর নাক গলানো পছন্দ করছেন না তাঁরা। তার ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে।
সূত্রের খবর, তালিবানের অন্যতম শীর্ষনেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই জানিয়েছেন, সরকার গঠন নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কূটনৈতিক চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। দ্বিতীয় তালিবান সরকারের উপর নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার। পরিস্থিতি এমনই যে তালিব নেতাদের প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে, মহিলাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে না। এমনকি আফগানিস্তানের মাটি জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে তালিবান। কিন্তু দিন দিন আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েই চলেছে বলে জানিয়েছেন স্তানিকজাই।
সূত্রের খবর, নতুন সরকার গঠন ও তার কর্মপদ্ধতি নিয়ে নাক গলাচ্ছে আইএসআই। এই অতিরিক্ত হস্তক্ষেপে বিরক্ত তালিব শীর্যনেতাদের একটি অংশ। স্তানিকজাই জানিয়েছেন, আইএসআই-এর মদতেই তালিবান সরকারে বেশ কয়েকটি শীর্ষপদ দাবি করেছে হক্কানি নেটওয়ার্ক। তাদের দাবি মেনে নিলে নতুন সরকারে কোণঠাসা হয়ে পড়বে তালিবরাই। সেটা হতে দিতে নারাজ তাঁরা।
তালিবান সম্প্রতি স্বীকার করেছে যে পাক সেনার আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছেন তাঁদের শীর্ষনেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা। শীর্ষনেতার মৃত্যুর জন্য এ ভাবে সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করার পিছনে তালিবানের অন্য অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। তারা চেষ্টা করছে পাকিস্তান ও আইএসআই-এর প্রভাব কমাতে। কিন্তু তাতে তালিবান কতটা সফল হতে পারবে তা নির্ভর করছে দুবাইয়ে শান্তি আলোচনার উপর। সেখানেই আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তালিবান শীর্ষনেতারা। সেই বৈঠকের উপরেই তালিবানের সরকার গঠন প্রক্রিয়া অনেকাংশে নির্ভর করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy