জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
আফগানিস্তান যেন ‘জঙ্গিস্তান’ না হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে এই আর্জিই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাকও দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার জি২০-র ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোদী বলেন, “আফগানিস্তানের মাটি যেন জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত না হয়। এই দেশের উন্নয়নে সকলকে একসঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।” আফগানদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মোদী।
আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব দীর্ঘ দিনের। প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই থেকে শুরু করে আশরফ গনির সময়কালে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। অর্থনীতি হোক বা বাণিজ্যনীতি, কূটনীতি— সব বিষয়েই দু’দেশ পরস্পরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বার বার। আফগানিস্তানের উন্নয়নে যথেষ্ট কাজ করেছে ভারত। কিন্তু তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নয়াদিল্লির সঙ্গে কাবুলের সম্পর্কের একটা দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করেছে। কিন্তু তালিবান শাসনকালে আফগানদের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত যে খুবই উদ্বিগ্ন তা মঙ্গলবার ফের উঠে এল মোদীর কথায়।
শুধু তাই নয়, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর নয়াদিল্লি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে, ওই দেশের মাটিকে জঙ্গিরা ব্যবহার করে ভারত-সহ অন্য দেশে হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে। যা গোটা বিশ্বে নিরাপত্তার সঙ্কট তৈরি করতে পারে। যদিও তালিবান বার বারই আশ্বস্ত করেছে জঙ্গিদের সে দেশের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না তারা। কিন্তু তাতে ভরসা রাখতে পারছে না ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশ।
মঙ্গলবার জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে এই কথাগুলিই তুলে ধরে আন্তর্জাতিক মহলকে বার্তা দিতে চেয়েছেন যে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা উচিত যাতে তারা সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিতে না পারে। পাশাপাশি, আফগানদের যত দ্রুত সম্ভব সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়, ওঁদের উন্নয়নে যাতে কোনও রকম বাধা না আসে সে দিকটাও দেখার জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে আহ্বান জানিয়েছেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy