Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
India

ভারত-চিন পাঞ্জার নতুন মঞ্চ নেপাল

নেপালকে কাজে লাগিয়ে ভারতের উপরে চাপ তৈরির কাজটি দীর্ঘদিন ধরেই করে এসেছে বেজিং।

প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির প্রস্তাব মেনে প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী কয়েক দিন আগেই নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তারই প্রতিবাদে কাঠমান্ডুর রাস্তায় বিক্ষুব্ধেরা। সোমবার। রয়টার্স

প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির প্রস্তাব মেনে প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী কয়েক দিন আগেই নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তারই প্রতিবাদে কাঠমান্ডুর রাস্তায় বিক্ষুব্ধেরা। সোমবার। রয়টার্স

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৮
Share: Save:

নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা ক্রমশ ভারত-চিন পাঞ্জা কষার নতুন রঙ্গমঞ্চ হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সংসদ ভেঙে দিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি অন্তবর্তী নির্বাচন ঘোষণা করায় সেখানে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে সেই দেশের শাসক কমিউনিস্ট দলেও চিড় ধরেছে।

নেপালকে কাজে লাগিয়ে ভারতের উপরে চাপ তৈরির কাজটি দীর্ঘদিন ধরেই করে এসেছে বেজিং। একই ভাবে ভারতও প্রতিবেশী কূটনীতিতে অগ্রাধিকার দিয়ে কাঠমান্ডুর সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।

বর্তমানে সে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে চিনের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল কাঠমান্ডু পৌঁছে দেখা করেছে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা পুষ্পকুমার দহল ওরফে প্রচণ্ডের সঙ্গে। বিক্ষুব্ধ অংশগুলিকে জোড়া লাগিয়ে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টিকে জোড়া লাগানোর চেষ্টা হিসেবেই একে দেখছে কূটনৈতিক শিবির। বিদেশ মন্ত্রকের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের সামগ্রিক কৌশলের একটি অংশ নেপালে কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক আধিপত্য বিস্তার। এর আগে ভারতের সেনাপ্রধান, র’ প্রধান, এবং বিদেশসচিবের পরপর কাঠমান্ডু সফর মাথাব্যথার কারণ হয়েছে বেজিংয়ের। নেপালে তাদের প্রভাব কমে যাওয়ার আশঙ্কায় চিনের কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস মিনিস্টার নিজে পৌঁছেছেন নেপাল।

আরও পড়ুন: উহানে করোনা সংক্রমণের খবর প্রচারের ‘অপরাধে’ ৪ বছরের জেল

নয়াদিল্লির মতে, নেপাল বেশ কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছিল। কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিতে না-পারা, অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতি, শাসক দলের মধ্যে বিরুদ্ধ স্বর— সব মিলিয়ে অস্থির করে রেখেছিল ওলি সরকারকে। ওলির সঙ্গে চিনের সম্পর্কের সুতোও কেটে গিয়েছিল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টিকে একজোট রেখে নিজেদের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত লক্ষ্য পূরণেই চিন বেশি ব্যস্ত ছিল। এমতাবস্থায় বেজিংয়ের দায়িত্ব থেকে যায় এই ডামাডালে ভারত-বিরোধী রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে নেপালে যেন চিন-বিরোধিতার স্বর না-তৈরি হয়। অদূর ভবিষ্যতে ভারত এবং চিন, নেপালে উভয় পক্ষেরই কূটনৈতিক সক্রিয়তা বাড়তে দেখা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

আরও পড়ুন: ইইউ-এর ২৭ দেশে শুরু হল টিকাকরণ

অন্য বিষয়গুলি:

India China Nepal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy