প্রতীকী ছবি।
সোমালিয়া উপকূলের কাছে অপহৃত হয়েছে একটি ভারতীয় জাহাজ। দুবাই থেকে ইয়েমেনের আল মুকালা বন্দরে যাচ্ছিল ইন্ডিয়ান অয়েলের তেল ট্যাঙ্কারটি। গত ১ এপ্রিল সেটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। দস্যুরা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর।
ইন্ডিয়ান অয়েলের জাহাজ অপহরণের ঘটনায় গোটা বিশ্বেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভারত, চিন, আমেরিকা–সহ বেশ কয়েকটি দেশের নৌসেনার তৎপরতায় গত পাঁচ বছরে সোমালি জলদস্যুদের কার্যকলাপ প্রায় নিশ্চিহ্ন ছিল। এডেন উপসাগর এবং আরব সাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সোমালি জলদস্যুদের দাপট এক সময় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল। ২০১০ সাল ছিল সবচেয়ে কুখ্যাত বছর। সে বছর বিভিন্ন দেশের একাধিক জাহাজ অপহরণ করেছিল জলদস্যুরা। তার পর থেকেই শক্তিশালী নৌসেনাগুলি জলদস্যুদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয় এবং আরব সাগর ও এডেন উপসাগরে নিয়মিত টহলদারি শুরু করে। বাণিজ্যিক জাহাজগুলিতেও সশস্ত্র রক্ষী মোতায়েন করা শুরু হয়। ফলে ২০১২ সালের মধ্যে জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য থামিয়ে দেওয়া গিয়েছিল।
গত পাঁচ বছর জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য প্রায় ছিলই না, কিন্তু এডেন উপসাগর এবং আরব সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেই আতঙ্ক আবার জাগছে বলে আশঙ্কা।
চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ অপহরণ করেছিল জলদস্যুরা। ২০১২ সালের পর সেটাই ছিল প্রথম অপহরণ। বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে ওই অপহরণকে প্রথমে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু তার পর সপ্তাহ দুয়েক কাটতে না কাটতেই ইন্ডিয়ান অয়েলের তেল ট্যাঙ্কার অপহরণের ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তা হলে কি বছর পাঁচেক আগে পর্যন্ত সমুদ্রের বুকে ভেসে বেড়ানো সেই আতঙ্ক আবার জাগছে? প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন: তাওয়াং-এ ভারত ট্রেন পাঠালে ফল খারাপ হবে: আবার হুঁশিয়ারি চিনের
সোমালিয়ার জলদস্যু বিরোধী বাহিনীর প্রাক্তন কর্তা আবদিরিজাক মোহামেদ দিরির এক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘আমাদের মনে হচ্ছে ভারতীয় জাহজটাকে জলদস্যুরাই অপহরণ করেছে এবং সেটিকে এখন সোমালিয়া উপকূলে দিকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’ আল কওসর নামে ইন্ডিয়ান অয়েলের ওই ট্যাঙ্কারটিতে ১১ জন ক্রু মেম্বার রয়েছেন। জলদস্যুরা তাঁদের পণবন্দি বানাবে বলেই আশঙ্কা। ভারত সরকারের তরফে কি পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy