ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র.
ক্ষমতায় আসার দু’বছর পরে জাতির উদ্দেশে প্রথম বক্তৃতায় প্রত্যাশিত পথেই হাঁটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সওয়াল করলেন প্রস্তাবিত মেক্সিকো প্রাচীর নিয়ে। প্রধান অস্ত্র করলেন নিহত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ অফিসার রনিল সিংহকে।
ক্যালিফর্নিয়ার নিউম্যান শহরে দুষ্কৃতীর গুলিতে মারা যান রনিল। পরে জানা যায়, আততায়ী মেক্সিকো থেকে আসা গুস্তাভো পেরেজ় আরিয়াগা নামের এক বেআইনি অভিবাসী। গ্রেফতারও করা হয় তাকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বক্তৃতায় বলেন, ‘‘বড়দিনের পরের দিন আমেরিকাবাসী জানতে পারলেন, তাঁদের এক তরুণ নায়ককে খুন করা হয়েছে। ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে এক বেআইনি ভিন্গ্রহের প্রাণী, যে সবে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকেছে।’’ গত সপ্তাহেই রনিলের স্ত্রী অনামিকাকে ফোন করে ট্রাম্পবলেন, ‘‘রনিলের মতো এক জন সাহসী পুলিশ অফিসার আমেরিকার সম্পদ ছিলেন।’’
এর পরে ট্রাম্প বেআইনি অভিবাসীদের আরও এক গুচ্ছ অপরাধের খতিয়ান দেন। ওভাল অফিস থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত এই টেলিভিশন বার্তায় ট্রাম্পের দাবি, ‘‘আমাদের দক্ষিণ সীমান্তে মানবাধিকার ও নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।’’ ১৮ দিনের শাট ডাউনের দায় ডেমোক্র্যাটদের ঘাড়ে চাপিয়ে প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, ‘‘সরকারি দফতরে তালা ঝোলার পিছনে একটাই কারণ— ডেমোক্র্যাটরা প্রাচীরের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছেন না।’’ তাঁর ‘হুমকি’, ডেমোক্র্যাটরা একমত না হলে, ক্যালিফর্নিয়ার দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থসাহায্য কমিয়ে দেওয়া হবে। প্রেসিডেন্ট-পুত্র জুনিয়র ট্রাম্পও এ দিন অবৈধ অভিবাসীদের ‘পশু’র সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর তির্যক মন্তব্য— ‘‘চিড়িয়াখানা আমাদের ভাল লাগে কেন? কারণ সেখানে পশু ও আমাদের মধ্যে একটা দেওয়াল রয়েছে।’’
প্রেসিডেন্টের দাবি, ‘‘গত মাসে কুড়ি হাজার শিশুকে বেআইনি ভাবে ঢোকানো হয়েছে। এদের দিয়ে পাচারকারীরা অপরাধমূলক কাজ করায়। এই পরিস্থিতি পাল্টাতে চাই।’’
মেক্সিকো প্রাচীর বানানোর জন্য কংগ্রেসের কাছ থেকে ৫৭০ কোটি ডলার চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর মতে, ‘‘আমেরিকায় এক বছরে ৫০ হাজার কোটি ডলারের মাদক বিক্রি হয়। মেক্সিকো প্রাচীর তৈরি হলে এ দেশে মাদকের আমদানি বিপুল কমানো যাবে। বছরে ৫০ হাজার কোটি ডলারের বিনিময়ে আমি মাত্র ৫৭০ কোটি ডলার চেয়েছি।’’
ট্রাম্পের বক্তৃতার পরে হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের স্পিকার, ডেমোক্র্যাট দলের ন্যান্সি পেলোসির মন্তব্য, ‘‘আমেরিকার মানুষকে পণবন্দি করে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। উনি যে সঙ্কটের কথা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ তাঁর মনগড়া। প্রেসিডেন্টের উচিত, এ ধরনের অবাস্তব অজুহাত না দিয়ে সরকারি দফতরগুলো খোলার বন্দোবস্ত করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy