আমেরিকার হাসপাতালে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নার্সের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হলেন রোগী। আঘাতে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর মুখ। সম্প্রতি ফ্লোরিডার পামস ওয়েস্ট হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে, যা সাড়া ফেলে দিয়েছে এলাকায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বর্ণবিদ্বেষের জেরেই এই হামলা।
আহত নার্সের নাম লীলাম্মা লাল। ৬৭ বছর বয়সি লীলাম্মা ফ্লোরিডার ওই হাসপাতালে কাজ করতেন। সেখানেই স্টিফেন স্ক্যান্টলবেরি নামে এক রোগী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালান। অস্ত্রের কোপে তাঁর মুখের বেশ কয়েকটি হাড় ভেঙে গিয়েছে। কার্যত বিকৃত হয়ে গিয়েছে গোটা মুখ। ঘটনার পর পরই ৩৩ বছর বয়সি স্টিফেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টিফেন শুধু লীলাম্মাকে আক্রমণই করেননি, বরং তাঁর ভারতীয় ঐতিহ্য সম্পর্কেও অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। ফলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে, বর্ণবিদ্বেষ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন স্টিফেন। ধৃতের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক অপরাধ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছে সে দেশের পুলিশ।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে। পাশাপাশি, প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও। স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক আইনজীবী শেরিল থমাস হারকাম অনলাইনে একটি পিটিশনও তৈরি করেছেন, এ পর্যন্ত তাতে সাড়ে ন’হাজারেরও বেশি স্বাক্ষর জমা পড়েছে। ইন্ডিয়ান নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ ফ্লোরিডা-র উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান মঞ্জু স্যামুয়েলের কথায়, ‘‘এখানে মূল সমস্যাটি হল, আমাদের মতো স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সুরক্ষার জন্য কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই। আইন প্রণেতাদের এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা উচিত।’’