ক্রাইস্টচার্চের রাস্তায় আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ। — নিজস্ব চিত্র।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। প্রতিবাদের ঝড় দেশের সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও আছড়ে পড়েছে। জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেনের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়েরা। বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন মেয়েরা। এ বার নিউ জ়িল্যান্ডেও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হলেন সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়েরা। ক্রাইস্টচার্চের রাস্তায় নীরবতা পালন করলেন তাঁরা। একই সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। পাশাপাশি সংহতি দেখালেন।
ক্রাইস্টচার্চে বসবাসকারী ভারতীয়েরা সর্বদাই আরজি কর-কাণ্ডের উপর নজর রাখছেন, এমনই দাবি স্থানীয় সংগঠনের। ক্রাইস্টচার্চের বাঙালি সম্প্রদায়ের এক সংগঠন অর্পণ মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জনের ডাকে সাড়া দিয়ে পথে নেমেছিলেন ভারতীয় প্রবাসীরা। ক্রাইস্টচার্চের রাস্তায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কয়েক হাজার মাইল দূরে থাকলেও আরজি করের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে তাঁদের। এই অরাজনৈতিক প্রতিবাদে শামিল হওয়া এক প্রবাসী ভারতীয় ভাস্বতী সরকার জানান, বিশ্বের কোনও স্থানেই হিংসা এবং অন্যায়ের জায়গা নেই।
ক্রাইস্টচার্চে প্রতিবাদে শামিল হওয়া ভারতীয়দের সকলের হাতেই ছিল পোস্টার। কোথাও লেখা ‘বিচার চাই’, কোনও পোস্টারে আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক। সেই জমায়েতে ছিলেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। শিশুসন্তানদের নিয়েও এসেছিলেন কেউ কেউ। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি শিরীষ পরাঞ্জপে এবং কৃষ্ণা বাদামির মতো ব্যক্তিত্বও এসেছিলেন ক্রাইস্টচার্চের প্রতিবাদে। ক্রাইস্টচার্চের এক জন সংসদ সদস্য মেগান উডসের প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি আসতে পারেননি। তবে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
প্রতিবাদীদের দাবি ছিল আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষীর শাস্তি। শুধু ক্রাইস্টচার্চ নয়, নিউ জ়িল্যান্ডের ওকল্যান্ড এবং ওয়েলিংটনেও একই রকম প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ। কোনও নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে এই আন্দোলন, প্রতিবাদ সীমাবদ্ধ নেই। রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠছেন মহিলারা। আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবির পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy