ট্রাম্প ও মোদী।
চলতি মাসের শেষে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এক সপ্তাহ আমেরিকায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। হিউস্টনে ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি পৌঁছবেন নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে যোগ দিতে। তারই ফাঁকে ২৫ অথবা ২৬ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের কাছে। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক এবং কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকাকে বিশদে জানানোর বিষয়টি তো রয়েছেই। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং ইরান থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে চাইছে নয়াদিল্লি।
আজই ট্রাম্প জানান, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দু’সপ্তাহ আগের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ঠান্ডা। এর আগে তিনি কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে চেয়ে বার দুয়েক নিজের উৎসাহের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু ভারত প্রতিবারই সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় কোনও তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতা চায় না তারা। এই পরিস্থিতিতে আজ ফের ট্রাম্প জানান, দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করবেন তিনি। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তান যদি চায়, তা হলে তাদের সহায়তা করতে রাজি আমি। দু’দেশই সেটা জানে।’’ তবে ট্রাম্পের এ দিনের বক্তব্যকে খুব বড় করে দেখতে চাইছে না নয়াদিল্লি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশন হয়ে যাওয়ার পরেও আমেরিকায় থেকে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বৈঠক করবেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর সঙ্গে। কিন্তু তার আগেই সর্বোচ্চ স্তরে ভারত-মার্কিন কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক দিকগুলি নিয়ে খতিয়ে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক। দেশের অর্থনীতি বেহাল। রফতানি তলানিতে। দেখা নেই বিদেশি লগ্নিরও। এই অবস্থায় ভারতের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে টানাটানির জায়গা থেকে সরে আসার জন্য হোয়াইট হাউসকে বলা হবে। লক্ষ্য হবে, মার্কিন বাজারের দরজা আরও বেশি করে ভারতীয় পণ্যের জন্য খোলার বন্দোবস্ত করা। একই সঙ্গে মার্কিন লগ্নিকে এ দেশে টেনে আনা।
পাশাপাশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য ইরান থেকে তেল আমদানির বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে ভারত। ভারত চায়, এই মুহূর্তে বিশ্ববাজারে তেলের দাম যাতে খুব বেশি না বাড়ে, সেই চাপটা ওয়াশিংটন বজায় রাখুক। পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে ইরান প্রশ্নে কিছুটা কড়াকড়ি শিথিল করলে ভারতের পক্ষে অনেকটাই সুবিধার, বৈঠক হলে সেটাও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বুঝিয়ে বলবেন মোদী।
জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ঝড় তুলতে চলেছে ইসলামাবাদ। এ ব্যাপারে আমেরিকা যাতে কোনও ভাবেই পাকিস্তানের পাশে না দাঁড়ায়, তা নিশ্চিত করাটা সাউথ ব্লকের অগ্রাধিকার। ভারতের স্বস্তির কারণ, আপাতত তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা নাকচ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে পাকিস্তান কিছুটা গুরুত্ব হারিয়েছে। তালিবানের হিংসা-নীতির আগাগোড়া বিরোধিতা করে আসা ভারতের পক্ষেও আমেরিকার সঙ্গে আফগান-প্রশ্নে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইবেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy