তাইওয়ানের উপ-অর্থমন্ত্রী চেরন চই চেন। ছবি: সংগৃহীত।
চিনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার আশঙ্কাতেই এত দিন তাইওয়ানের সঙ্গে চুটিয়ে ব্যাটিং করেনি নয়াদিল্লি। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্যও সে ভাবে এগোয়নি। কিন্তু দু’বছরের বেশি সময় ধরে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা সেনার থানা গেড়ে বসে থাকা ক্রমশই অসহিষ্ণু করে তুলেছে মোদী সরকারকে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সফরে এসে তাইওয়ানের উপ-অর্থমন্ত্রী চেরন চই চেন নয়াদিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারত-তাইওয়ান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়টি নিয়ে আশা প্রকাশ করলেন। ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি আজ বৈঠক করেছেন একাধিক বণিকসভার কর্তাদের সঙ্গেও। আজ তাইওয়ানের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারতের ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তিনটি চুক্তিপত্র সই হয়েছে। কূটনৈতিক মহলের মতে, গোটা বিষয়টি নিঃসন্দেহে অসহিষ্ণু করে তুলবে এক-চিন নীতির প্রবর্তক বেজিংকে।
‘ইন্ডিয়া-তাইওয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবরেশন সামিট’-এ যোগ দিতেই তাইওয়ানের মন্ত্রীর এই সফর। ভারতের বিভিন্ন বণিকসভা এবং তাইওয়ানের ‘চাইনিজ ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর যৌথ উদ্যোগে এই সম্মেলন হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে তাইওয়ানের উপ-অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কাছে পণ্য উৎপাদনের পক্ষে ভারত সবচেয়ে ভাল জায়গা হতে পারে। ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া নীতিতে আমাদের সরকারের সমর্থন রয়েছে। আমাদের সংস্থাগুলি ভারতীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, নয়াদিল্লির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ইঙ্গিতও দিয়েছে তাইপেই।
২০২০ সালে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের জেরে তাইওয়ান নীতি নিয়ে সক্রিয় হয়েছিল নয়াদিল্লি। উদ্দেশ্য, চিনকে কড়া বার্তা দেওয়া। ঘটনাচক্রে, সেই বছরই তাইওয়ানের তিনটি বেসরকারি সফ্টওয়্যার প্রযুক্তি সংস্থাকে ভারতে লগ্নির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এ বার তাইওয়ানের উপ-অর্থমন্ত্রীর সফরে সে দেশের আরও লগ্নির ভারতে আসার পথ তৈরি হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy