প্রতীকী চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার জন্য ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স)-র কাছে দরবার করে ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান। এ বার তারা নিজেরাই তুরস্ককে সঙ্গে নিয়ে ভারত-বিরোধী একটি সম্মেলন করতে উদ্যোগী হয়েছে। পাল্টা ভারতও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের একটি বিতর্কে সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের আর্থিক মদত দেওয়া এবং সেই রাষ্ট্রে জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গোদ্যান গড়ে ওঠা নিয়ে স্বর তুলেছে। এক দিকে চিন সীমান্তে যখন সামরিক স্তরে চিনের সঙ্গে যুযুধান পরিস্থিতি, অন্য দিকে পাকিস্তানের সঙ্গেও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক দ্বৈরথে অবতীর্ণ নয়াদিল্লি।
ওআইসি-র কাছে পাকিস্তানের ধাক্কা খাওয়াটাকে অবশ্য প্রাথমিক ভাবে কূটনৈতিক জয় হিসাবেই দেখছে সাউথ ব্লক। ওআইসি-র চেয়ারম্যান সৌদি আরব স্পষ্ট ভাবেই ইমরান সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় তারা আগ্রহী নয়। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ওমান, উত্তর আফ্রিকার কিছু রাষ্ট্রও একই ভাবে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তা কোনও বহুপাক্ষিক মঞ্চের বিচার্য হতে পারে না। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাসকারী রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়াও এ বিষয়ে পাশে রয়েছে ভারতের। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির অতি আক্রমণাত্মক ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্য প্রকৃতপক্ষে ওআইসি-র সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে চিড় ধরছে। এর আগে গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বক্তৃতায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদের অবলুপ্তির বিষয়টি তোলার পরে তুরস্ক তাঁকে সমর্থন করেছিল। এ বারও তুরস্ক পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে। এখন তাই কট্টরপন্থী ইসলামি তুরস্ক সরকারকে পাশে নিয়ে পাকিস্তান ভারত-বিরোধী মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করছে। তবে সাড়া তারা পায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy