Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
UNSC

‘মানবিক সাহায্য’ নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে এক মাত্র ভিন্ন সুর ভারতের! আবার বিরত ভোটাভুটিতে

রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ বলেন, ‘‘যে সংস্থাগুলি মানবিক সহায়তার কাজ করবে, তাদের যোগ্যতা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।’’

রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি তথা নিরাপত্তা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি রুচিরা কম্বোজ।

রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি তথা নিরাপত্তা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি রুচিরা কম্বোজ। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:১৪
Share: Save:

ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তাব সমর্থন করল ১৪টি সদস্য দেশ। এক মাত্র ব্যতিক্রম সভাপতি ভারত! শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে। আপৎকালীন বা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তার উপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আনা প্রস্তাব ঘিরে ভোটাভুটিতে অংশ নিল না ভারত।

রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি তথা নিরাপত্তা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি রুচিরা কম্বোজ নয়াদিল্লির এই অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘‘মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা ভারত স্বীকার করে। কিন্তু আমরা মনে করি, যে মানবাধিকার সংগঠনগুলি সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতিতে মানবিক সাহায্য দেওয়ার কাজ করবে, তাদের যোগ্যতা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়গুলি নিয়ে গঠনমূলক আলোচনার প্রক্রিয়ায় আমরা রয়েছি।’’

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কালে একাধিক বার ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমী দেশগুলির আনা প্রস্তাব ঘিরে ভোটাভুটিতে বিরত থেকেছে ভারত।

আমেরিকা এবং আয়ার্ল্যান্ডের আনা ওই প্রস্তাবের পক্ষে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ ভোট দেয়। একমাত্র ভারত ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিল। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিমী দুনিয়া মানবিক সাহায্যের আড়ালে সামরিক সহায়তা করছে কিভকে। সরাসরি সে প্রসঙ্গের উল্লেখ না করে রুচিরা বলেন, ‘‘বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত গোষ্ঠীগুলিকে নিষিদ্ধ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপু্ঞ্জের ১২৬৭ কমিটির ‘সন্দেহজনক’ তালিকায় থাকা সংগঠনগুলিকে মানবিক সাহায্যের কাজে অনুমতি দেওয়ার আগে যথাযথ সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE