—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংঘাতের আবহে এ বার বাধ্যতামূলক সেনা প্রশিক্ষণ ফেরার সম্ভাবনা দেখা গেল জার্মানিতে। সেই সঙ্গে ফিরল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তিক্ত স্মৃতি, অস্বস্তিও। জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস দীর্ঘদিন ধরে সওয়াল করে এসেছেন, ‘বুন্ডেসভের’ (জার্মানির জাতীয় সেনাদল)-এ সৈন্য সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কমে এসেছে। মোট ঘাটতি ২১ হাজার সেনার। এই বিষয়ে আশু পদক্ষেপ না করলে নেটোর প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় সেনা সরবরাহ ও বাইরের শত্রুর হামলা থেকে দেশকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে উঠবে। এ বার সেই সুরে সুর মেলালেন দেশের শাসক দল সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও কনজ়ারভেটিভ ক্রিশ্চান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন অব জার্মানির তাবড় রাজনীতিকরা। আর তাতেই অস্বস্তিতে মানবাধিকার কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, রাশিয়ার জুজু দেখছে জার্মানি। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই তাই এই নিয়ে আলোচনা শুরু। আর এখন, মাতামাতি আরও বেড়েছে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বাধ্যতামূলক সেনা প্রশিক্ষণ বন্ধ হয় জার্মানিতে।
মঙ্গলবার সুইডেনে সফররত জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ়ের কথাতেও শোনা গিয়েছে এই ইঙ্গিত। তিনি বলেছেন, “দেশের মানুষের কাছে সেনায় চাকরি আরও আকর্ষণীয় করে তোলার পদক্ষেপ করতে হবে।”
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সুইডেনের সেনা প্রশিক্ষণের মডেলটিকেই আপাতত পাখির চোখ করেছে জার্মানি। তিনটি প্রস্তাব আপাতত রয়েছে রাজনীতিকদের আলোচনায়। প্রথমটি হল, ১৮ বছর বয়স হলেই সমস্ত দেশবাসীকে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে ১৮ বছর ও তার উপরের সমস্ত পুরুষের শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা করা হবে। তার পরে, তাঁদের মধ্যে নির্বাচিতরা যোগ দেবেন সেনায়। এই প্রস্তাবে মেয়েরাও যোগ
দিতে পারেন।
তৃতীয় প্রস্তাবে বাধ্যতামূলক কোনও ব্যাপার নেই, ১৮ বছর বয়স হলে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সকলকেই সেনায় ভর্তির ফর্ম পাঠানো হবে। যাঁরা ইচ্ছুক তাঁরা যোগ দেবেন। জুন মাসে এই সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত পাকাপাকি ভাবে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy