টাকা নিয়ে ভোট দিলে পরের জন্মে পশু হবেন। ভোটারদের উদ্দেশে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক ঊষা ঠাকুরের এই মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি বিধায়কের দাবি, ভোট এলেই অনেককে টাকা, মদ এবং উপহারের লোভ দেখিয়ে প্রভাবিত করা হয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ‘অস্বীকার’ করে সেই ফাঁদে পা দেন অনেকে। সেই ধরনের ভোটারদেরই এ বার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি বিধায়ক ঊষা।
তাঁর দাবি, বিজেপি সরকারের সমস্ত রকম প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করেও অনেকে ৫০০-১০০০ টাকার লোভে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে উপহাসে পরিণত করেন। বিধায়কের কথায়, ‘‘বিজেপি সরকারের লাডলি বহেন যোজনা, কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পের সুবিধা পান রাজ্যবাসী। কিন্তু তার পরেও দেখা যাচ্ছে, অনেকেই কিছু টাকার বিনিময়ে তাঁদের ব্যক্তিসত্তা অন্যের হাতে বিক্রি করে দেন। তাই এই ধরনের কাজ যাঁরা করবেন, পরজন্মে তাঁরা পশু হবেন।’’
বিধায়ক আরও দাবি করেছেন, যাঁরা টাকা, উপহার নিয়ে ব্যক্তিসত্তা বিসর্জন দেন, তাঁরা নিশ্চিত ভাবে পরজন্মে উট, ভেড়া, ছাগল, কুকুর এবং বিড়াল হবেন। বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিধায়কের বিরুদ্ধে ভোটারদের ধমকানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও নিজের এই মন্তব্যের স্বপক্ষে বিধায়কের দাবি, কাউকেই তিনি ধমকাননি বা শাসাননি। বরং তাঁর লক্ষ্য গ্রামীণ ভোটারদের আরও শিক্ষিত করে তোলা। এর পরই তিনি বলেন, ‘‘সারা বছর ধরে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করার পরেও যাঁরা ভোটের সময় টাকার জন্য বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের অপরাধ ক্ষমার যোগ্য নয়।’’ বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্যই বিজেপির মানসিকতাকে প্রতিফলিত করে বলে কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র মৃণাল পন্থ।