ইমরান খান। — ফাইল চিত্র
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক উত্তাপ চড়ছে। এই আবহেই ফের পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের সঙ্গে প্রথাগত যুদ্ধ হলে পাকিস্তান যে হেরে যেতে পারে তা মেনে নিয়েছেন ইমরান। তার পরই তিনি বলেন, ‘যখন একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ আমৃত্যু লড়াই করে তখন তার কিছু প্রভাব তো পড়বেই।’
সম্প্রতি আল জাজিরা টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকার দেন ইমরান। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান কখনই যুদ্ধ শুরু করবে না, এবং এটা পরিষ্কার যে আমি এক জন শান্তিবাদী। আমি যুদ্ধ-বিরোধী। আমি বিশ্বাস করি যুদ্ধ কোনও সমস্যারই সমাধান করতে পারে না।’’
ভারতের সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হারের সম্ভাবনার কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন ইমরান। আর এর পরই বোমাটা ফাটিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে, দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যদি প্রথাগত যুদ্ধ হয়, তা হলে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের দিকে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। আমি যদি পাকিস্তানের কথা বলি, ভগবান না করুন, আমরা যদি প্রথাগত যুদ্ধে হারের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাই, যদি একটা দেশের সামনে এক দিকে আত্মসমর্পণ এবং আরেক দিকে মৃত্যু এই দুই পছন্দ থাকে। তা হলে আমি জানি, পাকিস্তান স্বাধীনতার জন্যই আমৃত্যু লড়াই করবে। আর যখন একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ আমৃত্যু লড়াই করে তখন তার কিছু প্রভাব পড়বেই।’’ প্রথমে শান্তির কথা বলেও, এ ভাবেই ধাপে ধাপে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান।
আরও পড়ুন: হিউস্টনে মোদীর সভায় আসতে পারেন ট্রাম্প, আলোচনা হতে পারে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে
ইমরান আরও বলেন, ‘‘এমন যুদ্ধ হলে তার প্রভাব এই উপমহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে যাবে।’’ দু’দেশের মধ্যে শান্তি রক্ষার জন্যই কাশ্মীর ইস্যুকে আম্তর্জাতিক মহলে তিনি পৌঁছে দিতে চান বলে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ইমরান। অথচ, আন্তর্জাতিক মহলকে কাশ্মীর নিয়ে ‘ভাবানোর’ জন্য কম চেষ্টা করেনি ইসলামাবাদ। কিন্তু, তাতে তেমন সাড়া মেলেনি।
সাক্ষাৎকারে ইমরান দাবি করেন, কূটনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে সভ্য প্রতিবেশীর মতো থাকার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই প্রচেষ্টায় খামতি হল কেন? ইমরানের নিজস্ব ব্যাখ্যা, ‘‘ভারত পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: সৌদির তেল শোধনাগারে হামলা, প্রভাব পড়তে পারে বিশ্ব জুড়েই
বরাবর বেজিংয়ের মিত্র শক্তি হিসাবেই পরিচিত ইসলামাবাদ। চিনে উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে বার বার। তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন পাক প্রধানমন্ত্রী। তার উত্তর অবশ্য কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর ইস্যু ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে তিনি ব্যস্ত বলে দাবি করেছেন ইমরান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy