প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গুলজারকেই উত্তরসূরি চাইলেন ইমরান। ছবি: সংগৃহীত।
পাকিস্তানের তদারকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদের নাম সুপারিশ করলেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার সোমবার সন্ধ্যায় পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে তিনি গুলজারের নাম পাঠিয়েছেন।
২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন গুলজার। গত বছর পাক সরকার জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে সুপ্রিম কোর্টে তলব করে ভর্ৎসনা করেছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি গুলজার। নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৪-য় পেশোয়ারের স্কুলে হত্যালীলা চালানো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটা চলবে না।
তদারকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম সুপারিশ করার জন্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বিদায়ী বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফের কাছে সোমবার দুপুরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন আলভি। প্রেসিডেন্ট সচিবালয় সূত্রে জানানো হয়, পাক সংবিধানের ২২৪-এ অনুচ্ছেদ মেনেই তিনি পদক্ষেপ করেন।
রবিবার রাতে পাকিস্তানের ক্যাবিনেট সচিবালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, ইমরান আর দেশের প্রধানমন্ত্রী নন। তার আগে ইমরানের পরামর্শ মেনে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট আলভি। ফলে অধিবেশন ডেকে আর নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সুযোগ নেই। এই পরিস্থিতিতে আগামী আট দিন অর্থাৎ ১১ এপ্রিলের মধ্যে নতুন তদারকি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে হবে। তাঁরই তত্ত্বাবধানে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে করতে হবে নতুন সাধারণ নির্বাচন।
পাক সংবিধানের ২২৪-এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মেয়াদ শেষ হলে বা ভেঙে দেওয়া হলে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বিরোধী দলনেতার ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করবেন তদারকি প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা তিন দিনের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হলে শুরু হবে নতুন প্রক্রিয়া। সে ক্ষেত্রে তাঁদের দু’জনের প্রস্তাবিত দু’টি করে নাম যাবে পার্লামেন্টের আট জন সদস্যকে গঠিত একটি কমিটির কাছে।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সেনেট এবং নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যদের নিয়ে ওই কমিটি গড়বেন স্পিকার। কমিটির সদস্য হবেন শাসক এবং বিরোধী শিবিরের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি। এই কমিটি যদি তিন দিনের মধ্যে এক মত হতে ব্যর্থ হয়, তবে নামগুলি যাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশনকে দু’দিনের মধ্যে তদারকি প্রধানমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy