করোনা টিকা নেওয়ার পর ব্যক্তির শরীরে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, তা অন্তত এক বছর তো থাকবেই। এমনকি, গোটা জীবনকাল ধরেও তা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। এমনই বলছে সাম্প্রতিক দুই গবেষণা। বিশ্ব জুড়ে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই অনেকে দাবি করেছেন, শরীরে টিকা থেকে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি দিন স্থায়ী হবে না। সেই দাবিকে কার্যত খারিজ হয়ে যাচ্ছে এই দুই রিপোর্টে।
যে রিপোর্ট বলছে, যাঁরা করোনা-মুক্ত হয়ে টিকা নিয়েছেন, তাঁদের আর দ্বিতীয় বার অর্থাৎ ‘বুস্টার’ টিকা নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত না হয়েও টিকা নিয়েছেন বা যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, অথচ শরীরে সে ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি, তাঁদের হয়ত ‘বুস্টার’ টিকা নিতে হতে পারে। ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, কোভিড আক্রান্তের শরীরে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, তার একটা স্মৃতি বা ছাপ থেকে যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অস্থি-মজ্জায়, যা প্রয়োজনে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। অন্য একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রথম বার আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় এক বছর ধরে বি-কোষের শক্তিবৃদ্ধি ঘটে। তার পর যদি টিকাও নেওয়া হয়, তা হলে শরীরে এক ধরনের যৌথ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, যা ভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতিকে রুখে দিতে সক্ষম হয়।
গবেষকরা বলছেন, বি-কোষ বহু দিন ধরেই স্থায়ী হয়। ফলত দীর্ঘ দিন তা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম হয়। তবে সকলের ক্ষেত্রেই যে একই ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে, তা নয়। আর সেই কারণেই টিকা নেওয়া জরুরি। এমনই অভিমত গবেষকদের।