প্রতীকী ছবি।
সাত বছর আগে এই দিনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বার শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সাত বছর পেরিয়ে সেই তারিখে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, কৃষক বিক্ষোভ ইত্যাদিতে নাজেহাল তাঁর সরকার। বিরোধীরা তো বটেই, সমালোচনায় সরব দেশের বহু মানুষ। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি ভাবমূর্তি ফেরাতে সাংসদ, বিধায়ক এমনকি দলীয় কর্মীদের মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। সরকার তথা শাসক দল যে মানুষের পাশে, তা বোঝাতে দ্বিতীয় মোদী সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩০মে প্রায় ১ লক্ষ গ্রামে ত্রাণকাজ চালাবে। ৫০ হাজার রক্তদান শিবিেরর পরিকল্পনা নিয়েছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে যে ভাবে সরকার হিমসিম, তাতে মূলত আঙুল উঠছে প্রধানমন্ত্রীর দিকে। এক কংগ্রেস নেতার মতে, গোড়া থেকেই করোনা সামলানোর যাবতীয় কৃতিত্ব একাই নেওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন ব্যর্থতার দায়ও তাঁকেই নিতে হবে। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অভ্যন্তীরণ বিশ্লেষণ, করোনার প্রথম ধাক্কার পরে যে ভাবে সরকার অতিমারি নির্মূল হয়ে গিয়েছে বলে ঢক্কানিনাদ শুরু করে, তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে। এতে দ্বিতীয় ধাক্কার জন্য চিকিৎসা-পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রশ্নে গা-ছাড়া দিয়েছিল মন্ত্রকগুলি। তেমনই আবার আম-জনতাও ধরে নিয়েছিলেন করোনা নির্মূল হয়ে গিয়েছে। ফলে এ যাত্রায় সংক্রমণ প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে মৃত্যু। অক্সিজেনের অভাবেই মারা পড়েছেন বহু করোনা আক্রান্ত।
প্রতিষেধক প্রশ্নেও কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতির কারণে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে প্রধানমন্ত্রী। দেশ জুড়ে প্রতিষেধকের হাহাকার, রাজ্যে রাজ্যে টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্রের টিকা নীতি নিয়ে।
উদ্বেগ বাড়িয়েছে কৃষক বিক্ষোভ। নভেম্বর থেকে কৃষিতে মোদী সরকারের আনা তিন বিলের বিরুদ্ধে রাজধানী ঘিরে রেখেছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের একাংশ। আজ সেই আন্দোলনের ছ’মাস পূর্ণ হওয়ায় দিল্লি ও হরিয়ানার বিভিন্ন অংশে কালা দিবস পালন করা হয়। সিংঘু সীমানায় কৃষকেরা কালো পতাকা নিয়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ান। এক বছরের মধ্যে দু’টি লকডাউনে অর্থনীতিতে মন্দার ছায়া। কাজ হারিয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। সব মিলিয়ে বর্ষপূর্তিতে ব্যাকফুটে মোদী।
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, পঞ্জাবের মতো একাধিক বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতি জারি থাকলে বিজেপির ভাল ফল করা কঠিন বলেই মত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তাই সরকারের ভাবমূর্তি উদ্ধারে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন সভাপতি নড্ডা। ৩০মে দ্বিতীয় মোদী সরকারের বর্ষপূর্তি উদ্যাপনের পরিবর্তে তাই কল্যাণমূলক কর্মসূচি। গ্রামীণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে শুকনো রেশন, স্যানিটাইজার, মাস্ক ও অক্সিমিটার। বার্তা দিতে মন্ত্রীদের অন্তত দু’টি করে গ্রামে যেতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy