মন্দার পূর্বাভাস আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার। ফাইল চিত্র।
নতুন বছরের শুরুতেই আশঙ্কার কথা শোনালেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ)-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তাঁর পূর্বাভাস, ‘‘২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে আসতে চলেছে ভয়াবহ মন্দার অভিঘাত। বিশ্ব অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ সেই মন্দার শিকার হবে।’’
কয়েক মাস আগে ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক’ শীর্ষক রিপোর্টে আইএমএফের তরফে বলা হয়েছিল, ‘‘২০২৩ সালে একটি মারাত্মক মন্দার মুখোমুখি হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি।’’ কিন্তু সেই পূর্বাভাসের চেয়েও মন্দার আঘাত প্রবলতর হতে পারে বলে রবিবার সংস্থার প্রধানের বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। তাঁর মতে, মন্দার জেরে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমবে, ছাঁটাই বাড়বে।
অতিমারি পরবর্তী সময় থেকেই মন্দার চাপে রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া’ হয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা। এই আবহে মন্দার অভিঘাত কতটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে। আইএমএফের তরফে গত অক্টোবরে প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি ২০২২-এ ৩.২ শতাংশে নামতে পারে। ২০২৩-এ তা আরও নেমে দাঁড়াতে পারে ২.৭ শতাংশে।
ক্রিস্টালিনার মতে, চিনে ওমিক্রনের নয়া উপরূপের সংক্রমণের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে অর্থনীতিতে। চিনের পাশাপাশি, আমেরিকা এবং ইউরোপেও বৃদ্ধির গত শ্লথ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। একটি আলোচনাসভায় তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’ এমনকি, যে দেশগুলিতে মন্দা এখনও সরাসরি আঘাত হানেনি (ভারতও এই তালিকায় রয়েছে), সেখানেও ২০২৩ সালে মন্দার প্রভাব পড়তে পারে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy