অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে মহড়া মার্কিন যুদ্ধবিমানের। এই মহড়ায় নজরদারি চালাতেই রণতরী পাঠিয়েছিল চিন। ছবি: রয়টার্স।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্দেশ দিলেই চিনে পরমাণু হামলা চালানো হবে। এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন মার্কিন নৌসেনার প্যাসিফিক ফ্লিটের প্রধান অ্যাডমিরাল স্কট সুইফট। আমেরিকার প্রেসিডেন্টই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কম্যান্ডার— মনে করিয়ে দিয়েছেন অ্যাডমিরাল সুইফট। প্রেসিডেন্ট যদি চান আগামী সপ্তাহে পরমাণু হামলা চালাতে হবে, তা হলে আগামী সপ্তাহেই তা হবে— জানিয়েছেন তিনি।
প্যাসিফিক ফ্লিট হল মার্কিন নৌসেনার প্যাসিফিক কম্যান্ডের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা। প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরে মার্কিন নৌসেনার যাবতীয় কার্যকলাপ প্যাসিফিক কম্যান্ডের অধীনস্থ। দক্ষিণ চিন সাগরে মাঝেমধ্যেই রণতরী পাঠিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার কাজটা (আমেরিকার ভাষায় ফ্রিডম অব নেভিগেশন) মার্কিন নৌসেনার এই কম্যান্ডই করে থাকে। উত্তর কোরিয়ার মতো ‘অবাধ্য’ পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মোকাবিলার ভার এই কম্যান্ডের উপর। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো যে সব দেশ এখন আমেরিকার সামরিক সহযোগী, সেই সব দেশের নৌসেনার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার কাজটাও এই প্যাসফিক কম্যান্ডেরই। এ হেন প্যাসিফিক কম্যান্ডের অন্যতম শীর্ষকর্তা তথা প্যাসিফিক ফ্লিটের প্রধান অ্যাডমিরাল স্কট সুইফট অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে অকপটে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ পেলে চিনে পরমাণু বোমা ফেলতেও প্রস্তুত মার্কিন নৌসেনা।
মহড়ায় হাজির অ্যাডমিরাল স্কট সুইফট। তাঁর মন্তব্যে চাঞ্চল্য এখন গোটা বিশ্বেই। ছবি: রয়টার্স।
উত্তর-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে সদ্য মহড়া দিয়েছে মার্কিন ও অস্ট্রেলীয় নৌসেনা। ৩৬টি রণতরী, ২২০টি এয়ারক্র্যাফ্ট এবং ৩৩ হাজারের বিশাল বাহিনী নিয়ে এই মহড়া দিয়েছে দুই দেশ। আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার এই যৌথ মহড়ার উপর নজরদারি চালাতে অস্ট্রেলীয় উপকূলের কাছে রণতরী পাঠিয়েছিল চিনও। বেজিঙের এই গোয়েন্দাগিরির চেষ্টাকে একেবারেই ভাল চোখে দেখেনি আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া। মহড়া শেষে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অবধারিত ভাবে চিন-আমেরিকা দ্বৈরথের প্রসঙ্গ উঠে আসে। অ্যাডমিরাল স্কট সুইফটকে এক শিক্ষাবিদ প্রশ্ন করেন— আগামী সপ্তাহে যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চিনে পরমাণু হামলা চালানোর নির্দেশ দেন, তা হলে কি তিনি পরমাণু হামলা চালাবেন? অ্যাডমিরাল জানিয়ে দেন, প্রেসিডেন্ট নির্দেশ দিলে তিনি অবশ্যই চিনে পরমাণু হামলা চালাবেন।
আরও পড়ুন: ‘অমিত্রসুলভ’ ও ‘ বিপজ্জনক’ মহড়া বন্ধ করুক আমেরিকা, হুঁশিয়ারি চিনের
এটুকু বলেই অবশ্য থেমে যাননি অ্যাডমিরাল সুইফট। তিনি নিজের জবাবের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন গণতন্ত্রে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারই শেষ কথা। দেশের সশস্ত্র বাহিনী সব সময় সরকারের নিয়ন্ত্রণেই থাকে এবং প্রেসিডেন্টই মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ পদাধিকারী। অতএব, প্রেসিডেন্ট যে ভাবে বলবেন, বাহিনী সে ভাবেই কাজ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy