হংকংয়ের রাস্তা। ফাইল চিত্র
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাল হংকং। আজ হংকংয়ে মার্কিন কনসুলেটের সামনে ভিড় করেন গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীরা। কারও হাতে মার্কিন পতাকা, কারও হাতে প্ল্যাকার্ড। কেউ পরেছিলেন ট্রাম্প লেখা টি-শার্ট, টুপি। টানা পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীরা।
গত সপ্তাহেই মার্কিন সেনেটে পাশ হওয়া একটি বিলে সই করেছেন ট্রাম্প। ‘হংকং মানবাধিকার ও গণতন্ত্র আইন, ২০১৯’ নামে ওই বিলটি পাশ হয়ে যাওয়ার পরে ট্রাম্প প্রশাসন চাইলে হংকং ও বেজিংয়ের পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের (যাঁদের বিরুদ্ধে হংকংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে) উপরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগেও বহু ক্ষেত্রে টুইট করে হংকংয়ের বিক্ষোভ-আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন। চিনকেও অনুরোধ করেছেন, হংকংয়ের সাধারণ মানুষের অধিকার যাতে লঙ্ঘিত না-হয়, সে বিষয়ে বিশেষ ভাবে নজর দিতে। চিনা সরকার অবশ্য আমেরিকার বিল পাশের বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যেই যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কিন্তু হংকংয়ের সাধারণ মানুষ যে ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞ, তা আজ মার্কিন কনসুলেট পর্যন্ত তাঁদের মিছিলই প্রমাণ করে দিয়েছে।
আজ যাঁরা মিছিলে হেঁটেছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ব্যানারে লিখে এনেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, দয়া করে হংকংকে স্বাধীন করুন’। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে কাউকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘হংকংকে দেওয়া এত বড় একটা উপহারের জন্য ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট।’’
তবে প্রতিবাদের পথ থেকে এখনই সরে আসছেন না হংকংয়ের আন্দোলনকারীরা। আজ তিনটি মিছিল বার হয়। প্রথমে মিছিলগুলো শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ফের কোথাও মেট্রো স্টেশন অবরুদ্ধ করা হয়েছে। কোথাও জনতা-পুলিশ দফায় দফায় সংঘর্ষ বেধেছে। বিক্ষোভ চলাকালীন ব্যারিকেড সরাতে গিয়ে এক ব্যক্তি মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের মারধরেই আঘাত পান ওই ব্যক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy