মার্কিন হস্তক্ষেপের দাবি আন্দোলনকারীদের। ছবি: পিটিআই।
রাতের খাবারের জন্য পাস্তা অর্ডার করেছিলেন পুলিশ অফিসারেরা। শুক্রবার থানায় ১০০টি পার্সেল এল বটে। কিন্তু পাস্তার জায়গায় সব ক’টা বাক্সই ভর্তি ছিল কাঁচা মাংসে। চিনের সীমান্ত লাগোয়া হংকংয়ের শেয়ুং শুইয়ের এই ঘটনা নিয়ে জল্পনা চলছে দু’দিন ধরে। কিন্তু কে বা কারা রহস্যজনক ওই পার্সেলগুলি পাঠিয়েছেন, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয় হংকং পুলিশ। কোন খাবারের সংস্থা ওই পার্সেলগুলি পাঠিয়েছিল, তা নিয়েও ধোঁয়াশায় পুলিশ। সে দিন অন্য জায়গা থেকে ফের খাবার অর্ডার দিয়ে নৈশভোজ সারেন ওই ১০০ জন অফিসার।
তিন মাস ধরে চলা প্রতিবাদ-বিক্ষোভে হংকংয়ের সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে। বিশেষ করে চিন সীমান্ত ঘেঁষা এই এলাকার দোকানদার থেকে ছাত্রছাত্রী, প্রত্যেকেই পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। শেষ কয়েক সপ্তাহ প্রতিবাদের মাত্রাও বেড়েছে এই এলাকায়। তাই এই কাজ যে বিক্ষোভকারীদেরই তা মেনে নিচ্ছেন পুলিশ অফিসারদের একাংশ। তাঁদের মতে গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের একাংশই তাঁদের খাওয়া পণ্ড করতে কাঁচা মাংস পাঠিয়েছিলেন সেই রাতে। কিন্তু এই যুক্তির সপক্ষে কোনও প্রমাণ এখনও তাঁদের হাতে নেই বলে জানিয়েছে পুলিশই।
অন্য রবিবারগুলির মতো হংকংয়ের প্রাণকেন্দ্র আজও বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে। পরিচিত কালো টি-শার্ট পরে আর মুখে মুখোশ নিয়ে রাস্তায় নামেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তাঁদের একটি দল আজ হংকংয়ের মার্কিন কনসুলেটের সামনেও ধর্না দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তাঁরা তাঁদের শহরকে চিনের আধিপত্য থেকে ‘স্বাধীন’ করার আর্জিও জানিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের হাতে ধরা ছিল, ‘রেজিস্ট বেজিং, লিবারেট হংকং’ লেখা প্ল্যাকার্ড। অনেকে নিয়েছিলেন আমেরিকার পতাকাও।
তিন মাস ধরে চলা এই বিক্ষোভে আমেরিকা আর ব্রিটেনের মতো বিদেশি শক্তিগুলির মদত রয়েছে বলে বারবার অভিযোগ করেছে চিন। তবে গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়ালেও দুই দেশই ইন্ধনের সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বিক্ষোভকারীদের আজকের আবেদন নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি হোয়াইট হাউস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy