সিওলের দোকানে বিক্রির জন্য সাজানো রয়েছে হার্পার লি-র দ্বিতীয় বই। ছবি: এএফপি।
৫৫ বছরের প্রতীক্ষা শেষ! অবশেষে পাঠকের হাতে হার্পার লি-র দ্বিতীয় বই ‘গো সেট আ ওয়াচম্যান।’ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বইয়ের দোকানে ভিড় জমিয়েছেন উৎসাহীরা। অনেকে আবার সারারাত ধরে দোকানের বাইরেই লাইন দিয়েছিলেন।
১৯৬০ সালে ১১ জুলাই প্রকাশিত হয় ‘টু কিল আ মকিংবার্ড।’ বাকিটা ইতিহাস। আমেরিকান সাহিত্যের পাতায় স্থায়ী আসন পেতে নেন এর লেখিকা হার্পার লি। ‘মকিংবার্ড’-এর জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পান তিনি। কিন্তু, এই ক’বছরে আমেরিকার আলাবামা প্রদেশের মনরোভিলের বাসিন্দা লি-র আর কোনও নভেল প্রকাশিত হয়নি। পাঠকসমাজ থেকেও যেন নিজেকে ক্রমশ সরিয়ে নেন তিনি। ’৬৪-এর পরে পুরোপুরি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান লি। সে বছরের পরে আর সংবাদমাধ্যমে মুখ খেলেননি তিনি।
কিন্তু, লেখিকার ট্রাস্টের আইনজীবী হঠাৎই লি-র ব্যাঙ্কের লকারে খুঁজে পান তাঁর একটি উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি। এর পরই তা প্রকাশ্যে আনার জন্য লি-র দরজায় লাইন পড়ে প্রকাশকদের। অবশেষে হার্পার-কলিন্স ঘোষণা করে, চলতি বছরে সে বই প্রকাশ করবে তারা। সাড়া পড়ে যায় পাঠকমহলে। ছাপানো হয় লক্ষাধিক কপি। বিশ্বের ৭০টি দেশে একইসঙ্গে প্রকাশিত হয় ‘ওয়াচম্যান’-এর সংস্করণ। এখনও পর্যন্ত সাতটি ভাষায় অনুদিত হয়ে বাজারে এসে গিয়েছে এই বইটি।
কিন্তু, এই শুকনো পরিসংখ্যান ছাপিয়েও একটাই প্রশ্ন ঘুরছে ভাবী পাঠকের মনে, যাঁদের হাতে এখনও এ বই আসেনি। সত্যিই কি ‘মকিংবার্ড’-এর সমতুল হবে এই নতুন বই? যে বই মার্কিন সমাজের বর্ণবৈষম্যের ছবি তুলে ধরেছিল। ন’বছরের ছোট্ট মেয়ে স্কাউটের বর্ণনায় মেকোম্ব কাউন্টির বাসিন্দা বিপত্নীক অ্যাটিকাস ফিঞ্চ, তাঁর ছেলে জেম এবং বন্ধু ডিলের কথা বলতে গিয়ে উঠে এসেছিল মার্কিন সমাজের বিষাক্ত দিকটিও। সাম্প্রতিক কালেই জর্জিয়া, মিসৌরি-র মতো প্রদেশে ঘটে গিয়েছে কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি অত্যাচারের মতো ঘটনা। নতুন বইতে সেই বর্ণবৈষম্যের কথাই ফিরে এসেছে। মনরোভিলের একটি বৃদ্ধাশ্রমের বর্তমান বাসিন্দা ৮৯ বছরের লি এতে নতুন কী তুলে ধরেছেন তা এখন পাঠকের বিবেচ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy