হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। — ফাইল চিত্র।
গাজ়ায় তাঁর বাড়িয়ে সপ্তাহ কয়েক আগেই আছড়ে পড়েছিল ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ‘এয়ার টু সারফেস’ ক্ষেপণাস্ত্র। এ বার ইজ়রায়েলের তরফে ইঙ্গিত মিলল, হামাসের সেই নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারই তাদের ‘নিশানা’।
ইজ়রায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্যালেস্টাইন সংক্রান্ত বিভাগের প্রাক্তন প্রধান, তথা সে দেশের অন্যতম সামরিক বিশেষজ্ঞ মাইকেল মিলস্টাইন সোমবার জানিয়েছেন, ইজ়রায়েল সরকারকে দীর্ঘ দিন ধরে অন্ধকারে রেখে ৭ অক্টোবরের হামলার ছক কষেছিলেন গাজ়ায় হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তাঁর সবুজ সঙ্কেত পেয়েই ইহুদিদের পবিত্র দিবস সিমহাত টোরায় গাজ়া ভূখণ্ড থেকে নজিরবিহীন হামলার ছক কষেছিলেন হামাসের সামরিক শাখা আল কাসিম ব্রিগেডের প্রধান মহম্মদ দেইফ।
এই পরিস্থিতিতে গাজ়া দখলের পর ইজ়রায়েল সেনা সিনওয়ারকে হত্যার জন্য সর্বতো ভাবে চেষ্টা চালাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। মাইকেল বলেন, ‘‘সিনওয়ার সফল ভাবে তেল আভিভকে ধোঁকা দিতে পেরেছেন। ইজ়রায়েল সরকারের মধ্যে ধারণা তৈরি করে দিয়েছিলেন যে, হামলার পথ থেকে সরে এসে হামাস গাজ়ায় সুস্থিতি ফেরানোর পথে হাঁটতে চাইছে। সিনওয়ারই তাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’’ হামাসের অন্যতম শীর্ষনেতা এখন গাজ়ার ভূগর্ভস্থ কোনও বাঙ্কারে লুকিয়ে রয়েছেন বলেও দাবি করেছেন প্রাক্তন ইজ়রায়েলি গোয়েন্দাকর্তা।
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগেই জানিয়েছেন হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত গাজ়া ভূখণ্ডে অভিযানে ইতি টানা হবে না। হামাসের নেতাদের গাজ়ার সুড়ঙ্গে সেনা অভিযানেরও বার্তা দিয়েছেন তিনি। সোমবার হামাস-ইজ়রায়েল সংঘর্ষের ৪৫তম দিনে গাজ়ায় নিহত প্যালেস্টাইনি নাগরিকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ হাজারে পৌঁছেছে। তার মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিশু। একাধিক বার গ্রেফতার করেও সিনবারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ইজ়রায়েলি সরকার। এই পরিস্থিতিতে গাজ়ার সুড়ঙ্গে তাঁর সন্ধানে ইজ়রায়েল সেনার অভিযান শুরু হলে নিহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy