রুশদি এবং রুশদির উপর আক্রমণ চালানো হাদি মাটার।
সভামঞ্চে উঠে সলমন রুশদিকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে এসেছে ২৪ বছরের হাদি মাটার। ছুরি দিয়ে সে আঘাত করে লেখকের ঘাড়ে এবং তলপেটে। তার আঘাতের জেরে রুশদির একটি চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। এ বার আমেরিকার একটি সংবাদপত্রের কাছে সেই হাদির মা সিলভানা ফারদোস মুখ খুললেন। ছেলের কৃতকর্ম নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করলেন তিনি। জানালেন, লেবানন থেকে ঘুরে আসার পরই বদলে গিয়েছিল ছেলের আচরণ, মানসিকতা।
ফারদোস জানান, লেবাননবাসী বাবার সঙ্গে দেখা করতে লেবানন পাড়ি দিয়েছিল হাদি। কিন্তু লেবানন থেকে ফেরার পরেই নাকি সে হঠাৎ খামখেয়ালি আচরণ করতে শুরু করে এবং অন্তর্মুখী স্বভাবের হয়ে যায়। ফারদোসের নিজের কথায়, “আমি ভেবেছিলাম স্কুল-কলেজের লেখাপড়া শেষ করে হাদি চাকরিবাকরির চেষ্টা করবে। কিন্তু দেখলাম ও বাড়ির নীচে একটা ঘরে নিজেকে বন্দি করে ফেলল। মাসের পর মাস ও আমার সঙ্গে বা ওর বোনেদের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলেনি।”
ছেলের পরিবর্তিত আচরণ এবং মানসিকতার কথা বলতে গিয়ে হাদির মা আরও জানান, সে দিনের বেলা নিজের ঘরে ঘুমোত এবং রাত হলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যেত। একদিন নাকি মা’কে উদ্ধত ভঙ্গিতে সে জিজ্ঞাসা করে, কেন তাকে ধর্মীয় বিষয়ে উৎসাহ না দিয়ে লেখাপড়া করার জন্য জোর করা হয়েছে?
রুশদিকে চেনেন কি না এই প্রশ্নের উত্তরে, হাদির মা বলেন, “রুশদির নাম তিনি শোনেননি, তাঁর নামও তিনি আগে কখনও শোনেননি।” হাদির বোন তাঁকে এসে জানায় ঘটনাটির কথা। এই ঘটনায় যে তাঁরা মর্মাহত এবং বাকি দুই সন্তানকে বড় করার স্বার্থে তিনি যে আর হাদির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চান না তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন হাদির মা সিলভানা ফারদোস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy