—প্রতীকী চিত্র।
মেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের ঘরে নজরদারি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু সেই ক্যামেরার মাধ্যমেই যে মেয়েদের উপরে নজর রাখছে হ্যাকার, সে কথা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পেরে তড়িঘড়ি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তাঁরা। ভিডিয়ো ফুটেজ-সহ বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন আমেরিকার মিসিসিপির ডেসোটো কাউন্টির বাসিন্দা অ্যাশলে লেমে।
পেশায় নার্স অ্যাশলে জানিয়েছেন, রাতের ডিউটির সময়ে তিন মেয়ের উপরে নজর রাখতে ওই ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এক বন্ধুর থেকেই বিশেষ একটি সংস্থার তৈরি ক্যামেরাটির কথা জানতে পারেন। তার পরে অনলাইনে সেটি কেনেন। দিন চারেক পরে
হঠাৎ আতঙ্কিত মেয়ের ফোন পান অ্যাশলে। ৮ বছরের আলিশা মাকে জানায়, ক্যামেরায় লাগানো যন্ত্র থেকে কেউ কথা বলছে। ওই
কণ্ঠস্বর জানিয়েছে, সে সান্তা ক্লজ়। আলিশার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়। আলিশা তার বন্ধু হবে কিনা তা-ও জানতে চেয়েছে সে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে মাকে ফোন করেছিল আলিশা। বাড়ি ফিরে ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখেন আলিশার বাবা-মা। তখনই নজরে আসে ওই অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড-কারখানা। ক্যামেরার সংযোগ দ্রুত বিচ্ছিন্ন করেছেন অ্যাশলেরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই ক’দিনে মেয়েদের ঘুম, খেলা, পোশাক বদলানো— সব কিছুতেই নজর রেখেছিল হ্যাকার। খুব পরিচিত কেউ এই কাজ করেছে বলে তাঁদের সন্দেহ।
সে দিনের কথা জানিয়েছে আলিশাও। বলেছে, ক্যামেরা লাগানোর পর থেকেই ঘরে নানা রকম আওয়াজ শুনতে পেত সে। মাঝে মাঝে গানও শোনা যেত। ঘটনার দিন ঘরে একা ছিল আলিশা। হঠাৎ ভুতুড়ে একটা গান বাজতে শুরু করে। ‘টিপটো থ্রু দ্য টিউলিপ’ নামে ওই গানের সঙ্গে কারও চাপা নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পায় সে। ভয়ে চিৎকার করে ওঠে আলিশা। জানতে চায়, ক্যামেরার পিছনে কে। তার পরেই ও-পার থেকে হাড় হিম করা গলায় জবাব আসে।
আমেরিকায় ঘরে ঘরে এই বিশেষ ক্যামেরা লাগিয়ে নিশ্চিন্ত হন বহু বাবা-মায়েরা। তাঁদের সচেতন করতে ভিডিয়োটি তাঁরা আপলোড করেছেন বলে অ্যাশলে জানান।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে। ক্রেতার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করাই তাদের উদ্দেশ্য। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy