অ্যামাজ়নের সিইও জেফ বেজোস, অ্যাপলের সিইও টিম কুক, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই এবং ফেসবুকের সিইও মার্ক জ়াকারবার্গ।—ছবি এপি।
একের পর এক অস্বস্তিজনক প্রশ্নের মুখে পড়ে দৃশ্যতই জেরবার দেখাল তাঁদের। কেউ সোজাসুজি বলেলন, ‘বলতে পারব না’, কেউ বা পাশ কাটিয়ে গেলেন ‘হতেও পারে’ বলে। তাঁরা তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ার সব থেকে প্রভাবশালী চার সিইও। গুগলের সুন্দর পিচাই, অ্যামাজ়নের জেফ বেজ়োস, অ্যাপলের টিম কুক এবং ফেসবুকের মার্ক জ়াকারবার্গ।
বুধবার দুপুরে মার্কিন কংগ্রেসের বিচারবিভাগীয় সাব কমিটির অ্যান্টি-ট্রাস্ট প্যানেলের সদস্যদের প্রশ্নের সামনে পড়েন এই চার শীর্ষ কর্তা। অতিমারির প্রেক্ষিতে তাঁদের ক্যাপিটল হিলে তলব করা হয়নি। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি প্রশ্নোত্তর-পর্ব পুরোটাই হয়েছে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে।
গুগল, অ্যামাজ়ন, অ্যাপল এবং ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি দুনিয়ায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীদের হটিয়ে বাজার জবরদখল করার চেষ্টা করেছে। অনৈতিক বিজ্ঞাপনী প্রচারের অভিযোগও রয়েছে এই চার সংস্থার বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে কয়েক মাস ধরে তদন্ত চালাচ্ছে বিচারবিভাগীয় সাব কমিটির অ্যান্টি-ট্রাস্ট প্যানেল। বুধবার ছিল প্রথম দফার জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব।
এ দিন সব থেকে সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন পৃথিবীর সব থেকে বিত্তশালী ব্যক্তি, অ্যামাজ়নের সিইও জেফ বেজ়োস। তিনি মেনে নেন যে, কোন কোন সংস্থার জিনিস বিক্রি করলে তারা সব থেকে বেশি লাভবান হবে তা নিশ্চিত করতে অনৈতিক ভাবে তৃতীয় পক্ষ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অ্যামাজ়ন। বেজ়োসের তুলনায় অ্যাপলের সিইও টিম কুককে করা প্রশ্নগুলো ছিল অনেক কম ধারালো।
আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্র, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইকে প্রশ্ন করা হয়, গুগল কি তার নিজের ব্যবসায়িক লাভের কথা মাথায় রেখেই সার্চ ইঞ্জিন পরিচালিত করে? পিচাই জানান, গ্রাহকের যাতে সব থেকে সুবিধা হয়, সেই খেয়ালই রাখে গুগল।
সব থেকে অস্বস্তিজনক অবস্থায় পড়েন চার জনের মধ্যে তরুণতম, মার্ক জ়াকারবার্গ। প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাকে কিনে নিয়ে নিজের ব্যবসার পথ মসৃণ করা, অন্যান্য সংস্থাকে হুমকি দেওয়ার মতো একগুচ্ছ অভিযোগ ছিল ফেসবুকের বিরুদ্ধে। কোনও প্রশ্নেরই উত্তর সহজ ভাবে দিতে পারেননি তিনি।
সিইওদের জেরায় হাত মিলিয়ে ছিল হাউসের দুই যুযুধান পক্ষ— ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান। তাদের অভিযোগের সুর যেমন ছিল এক তারে বাঁধা, তেমনই সব কর্তা প্রথম দিকে বাজারদখল নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করলেও পরে একই কথা বলেছেন— ‘তথ্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় আমেরিকাকে এক নম্বরে রাখাটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। মার্কিন স্বার্থে যাতে কোনও রকম আঘাত লাগে, সে রকম কখনওই কিছু করব না আমরা।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy