করতারপুর। ছবি: পিটিআই
চলতি মাসের ৯ তারিখ করতারপুর করিডরের উদ্বোধন। আজ ভারত থেকে শিখ পুণ্যার্থীদের একটি দল পাকিস্তানের দরবার সাহিবে গিয়ে গুরুদ্বারে সোনার পাল্কি স্থাপন করেছে। উপস্থিত ছিলেন পাক পঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর। তাঁর আশা, এই করিডর দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ককে উন্নত করবে।
গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ করতারপুরের দরবার সাহিবে পৌঁছেছেন ২২০০ জন শিখ পুণ্যার্থী। ভারত থেকে নিয়ে যাওয়া সোনার পাল্কি গুরুদ্বারে স্থাপন করেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পাক পঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর মহম্মদ চৌধরি সারওয়ার। পরে তিনি বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করতারপুর করিডর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এই করিডর দুই দেশকে আরও কাছাকাছি আসতে সাহায্য করবে।’’ ওই শিখ পুণ্যার্থীরা করতারপুর করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
পাক সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতের নাগরিক নন, এমন শিখ পুণ্যার্থীদের করতারপুর সাহিবে নিয়ে যেতে হলে ট্যুর অপারেটরদের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক ওই ছাড়পত্র দেবে। মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যে সব শিখ পুণ্যার্থী আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসবেন, তাঁদের লাহৌরের জন্য ‘ভিজিট ভিসা’ দেওয়া হবে। তাঁরা যে হেতু পাকিস্তান সরকারের মাধ্যমে নয়, সরাসরি গুরুদ্বারে আসবেন তাই নিরাপত্তাজনিত সমস্যা থাকবে। সে কথা মাথায় রেখে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের কাছ থেকে ট্যুর অপারেটরদের এনওসি নিতে বলা হয়েছে।’’
পাকিস্তান আগেই জানিয়েছিল, ভারতীয় পুণ্যার্থীদের কোনও ভিসা লাগবে না। শুধু বৈধ পাসপোর্ট সঙ্গে রাখলেই হবে। অনাবাসী ভারতীয়দের পাসপোর্টের সঙ্গে ওসিআই কার্ড রাখতে হবে।
করতারপুর করিডর দিয়ে দরবার সাহিবে যাওয়ার জন্য গত অক্টোবরেই অনলাইনে নাম নথিভক্তির কাজ শুরু হয়েছিল। প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে যাওয়ার নিয়মাবলিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy